করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বর বালাই নেই, সংবাদমাধ্যমের উপর ফেটে পড়লেন কৃতি

মুম্বই: টুইট করে মিডিয়াকে ঠুকলেন অভিনেত্রী কৃতি স্যানন। বুধবার মুম্বইয়ে ফেরার সময় কঙ্গনা রানাউতের ফ্লাইটে ছিলেন এক মহিলা। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছিল কীভাবে একাধিক মিডিয়া সামাজিক দূরত্বের নীতি ভেঙে করে প্রতিক্রিয়ার জন্য কঙ্গনার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন।

মুম্বই: টুইট করে মিডিয়াকে ঠুকলেন অভিনেত্রী কৃতি স্যানন। বুধবার মুম্বইয়ে ফেরার সময় কঙ্গনা রানাউতের ফ্লাইটে ছিলেন এক মহিলা। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছিল কীভাবে একাধিক মিডিয়া সামাজিক দূরত্বের নীতি ভেঙে করে প্রতিক্রিয়ার জন্য কঙ্গনার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন।

ওই মহিলার ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল যে মিডিয়া কীভাবে কঙ্গনাকে প্রশ্ন করছিলেন। কিন্তু কঙ্গনা তাঁদের খুব একটা পাত্তা দিচ্ছিলেন না। তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছিলেন। কৃতি লিখেছেন, “আমি এটাই বোঝাতে চাইছি। এটি কীভাবে মেনে নেওয়া যায়? আমরা কি ভুলে গিয়েছি যে আমরা এখনও মারাত্মক মহামারীর মধ্যে রয়েছি এবং তার মামলার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে? আমরা এখনও শীর্ষে পৌঁছতে পারিনি!” সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক কঙ্গনার বিমান চলাকালীন ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির বিষয়ে ইন্ডিগো বিমান সংস্থাগুলির কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর কঙ্গনা হিমাচল প্রদেশ থেকে মুম্বই ফিরে আসার আগে বৃহন্নুম্বাই পৌর কর্পোরেশন তাঁর অফিসে অবৈধ পরিবর্তনগুলি ভাঙতে শুরু করে দেয়। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অভিনেত্রীকে Y+ ক্যাটেগরির সুরক্ষা দিয়েছে। তার সাহায্য নিয়ে তিনি চণ্ডীগড় থেকে একটি ফ্লাইটে মুম্বই ফেরেন। তখনই বিমানে এই ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: ‘সিনেমায় সুযোগ পেতে নগ্ন হতে বলেছিলেন সাজিদ খান’, বিস্ফোরক অভিযোগ বিখ্যাত মডেলের

এর আগে বৃহস্পতিবার কৃতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে মালাইকা অরোরার একটি পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছিলেন। “ভারতীয় সাংবাদিকতা যদি আরও নিচে নেমে যায় তবে তারা তেল মারবে।” এর পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংবাদিক তাঁকে বলেন যে এখনও কিছু ভাল লোক তাঁদের কাজ সঠিকভাবে করছেন। তখন কৃতি উত্তর দেন, “ঠিক বলেছো সামিনা… আমি জানি কিছু নৈতিকতা আছে এবং আমি চাই সেটা আরও বাড়ুক। আপনি আরও শক্ত হোন। প্রতিটি শিল্পের উন্নতির সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকতা একটি শক্তিশালী মাধ্যম হওয়ায় টিআরপির উপরে উঠে এর দায়িত্বশীল, মর্যাদাপূর্ণ ও পক্ষপাতহীন হওয়া দরকার। মতামত তথ্যের উপর নির্ভরশীল এবং এর মধ্যে কোনও অন্ধত্ব নেই।”

আরও পড়ুন: বলিউডে পুরুষতন্ত্রের বিরোধিতা! অনুষ্কার পদক্ষেপে গায়িকার সোনার শুভেচ্ছা

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে, কৃতি মিডিয়াতে ফিল্ম তারকাদের নিয়ে অন্ধভাবে মন্তব্য করার বিপক্ষে মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন, “এই সব জিনিসগুলি বেআইনি হওয়া উচিত। নিষিদ্ধ করা উচিত! এগুলি মানসিক হয়রানির আওতায় আসা উচিত! সুতরাং হয় প্রমাণ পেয়ে লিখুন আর নাম লেখার সাহস করুন। অথবা এগুলি লিখবেন না! আপনি “শোনা গিয়েছে-বলেছে” লেখেন আর এটিকে সাংবাদিকতা বলেন! আপনার কোনও ধারণা নেই যে এটি কারও মন, তাঁদের পরিবার, তাঁদের জীবনকে কতটা খারাপভাবে প্রভাবিত করতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *