কলকাতা: তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাম্পত্য কলহ এখন সংবাদ শিরোনামে৷ শুরু হয়েছে একে অপরকে দোষারোপের পর্ব৷ কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের খলনায়িকা রাধারানীর সঙ্গে কাঞ্চনের নাম জড়িয়ে শোরগোল ফেলেছেন পিঙ্কি৷ তাঁর দাবি, শ্রীময়ীর সঙ্গে প্রেম করছেন কাঞ্চন৷ স্ত্রীর আনা এই অভিযোগে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিনেতা৷
আরও পড়ুন –FIR দায়ের হতেই পাল্টা কাঞ্চন, বললেন ২০ দিনের বেশি সংসারই করেননি পিঙ্কি
পিঙ্কির অভিযোগ, কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী মিলে তার উপর হামলা করেছে৷ কাঞ্চন নাকি, তার একমাত্র ছেলের দিকেও নজর দেন না৷ শনিবার রাতে থানায় এফআইআর-ও দায়ের করেন পিঙ্কি৷ এর পরেই কাঞ্চন পাল্টা অভিযোগ এনে বলেন, ‘‘বিয়ের পর মাত্র ২০ দিন শ্বশুর বাড়ির ঘর করেছেন পিঙ্কি৷ আমার মায়ের সঙ্গে নাকি থাকা যায় না৷ এই অভিযোগে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তিনি৷ এমনকী বাবা-মা মারা যাওয়ার পরেও পিঙ্কিকে পাশে পাইনি৷’’ রুপোলি পার্দায় লোক হাসানো সেই কাঞ্চন মল্লিক আজ একা ঘরে হাউ হাউ করে কাঁদছেন৷
কাঞ্চন একটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মিথ্যে আভিযোগ আনতে গিয়ে সত্যিটা স্বীকার করে নিয়েছেন পিঙ্কি৷ সেই কারণেই হয়তো বলেছে, দু’জন প্রাপ্ত বয়স্কের পরকীয়ায় আপত্তি নেই৷ এর জন্য শ্রীময়ীর সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে দিলেন৷ পরকীয়া দূরস্ত৷ কাজের বাইরে কোনও সম্পর্কই নেই শ্রীময়ীর সঙ্গে৷ কাঞ্চন বলেন, কেউ জানতে চাইবে না পিঙ্কির কতজন বন্ধু আছে৷ কারণ উনি নারী৷ আর কোনও নারী পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে গোটা সমাজ তাঁর পক্ষে চলে যায়৷ কিন্তু পুরুষেরও কান্না পায়৷ লোক হাসাতে হাসাতে আজ একা ধরে হাউ হাউ করে কাঁদছি৷ কেউ দেখার নেই৷
সেই সঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী উত্তর দেবেন তিনি? সেই চিন্তা কুঁড়েকুঁড়ে খাচ্ছে তাঁকে৷ কাঞ্চন বলেন, রাতারাতি আমি কলঙ্কিত নায়ক হয়ে গেলাম৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোটে জেতার পর মিষ্টি নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম৷ কিন্তু এর পরের দিন পিঙ্কি আক্ষেপ করে বলেছিল, একজন জাত অভিনেতার অপমৃত্যু হল৷ এই মন্তব্যের পরও একাধিক দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিল আমার স্ত্রী৷ মাসে ৩ লক্ষ টাকা, ছেলের আয়ার ভাইয়ের চাকরি৷ এত দাবি কী মেটানো সম্ভব?’’
কাঞ্চন আরও বলেন, পিঙ্কি বলেছে আমি ছেলের খেয়াল রাখি না৷ অথচ প্রতি সপ্তাহে নিজের হাতে রেঁধে ছেলের জন্য নিয়ে গিয়েছি৷ পিঙ্কি আমাকে মদ্যপ বলেছে৷ কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানে ওঁর বাড়ির কেউ মদ ছাড়া চলতে পারে না৷ আর সেই জোগান দিতেন কাঞ্চনই৷ তাঁর আর্জি, ‘‘এই অপবাদ থেকে মুক্তি চাইছি৷ তুমি নিশ্চিন্তে থাক৷ ছেলের সব দায়িত্বই আমার৷ তবে এবার আমাকে মুক্তি দাও৷’’