মুম্বই: এবার আরিয়ান খান মাদক মামলায় নাম জড়াল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র৷ আরিয়ানের গ্রেফতারির নেপথ্যে রয়েছে বিজয়বর্গীয়ের এক ঘনিষ্ঠ৷ যাঁর নাম নীরজ যদব৷ তিনিই মাদক পার্টির খবর দিয়েছিলেন নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরোর (এনিবি)- দফতরে৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন এনসিবি ঘনিষ্ঠ সুনীল পাটিল৷
আরও পড়ুন- রেলে শ্যুটিংয়ের খরচ কম নয়! সিমরনকে ট্রেনে তুলতে খরচ কত হয়েছিল জানেন?
মহারাষ্ট্রের বিজেপি-র নেতা মোহিত কাম্বোজ বলেন, গত ২০ বছর ধরে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে সুনীলের সম্পর্ক। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখের ছেলে হৃষিকেশ দেশমুখের সঙ্গেও তাঁর সখ্য রয়েছে৷ সেই সুনীলেরই অভিযোগ, মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীতে আরিয়ানদের রেভ পার্টির খবর তাঁকে দিয়েছিলেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ নীরজ যাদব। এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভির নামও উল্লেখ করেন তিনি৷ তবে সেপ্টেম্বরের আগে তিনি গোসাভিকে চিনতেন না বলেই দাবি৷ সুনীল জানান, তিনি বিজেপি কর্মী মণীশ ভানুশালিকে চিনতেন৷ দিল্লির এক হোটেলে মণীশ তাঁকে ডেকে প্রবল মারধর করেন ও তাঁকে জেরা করতেই আরিয়ানদের ক্রুজ পার্টির খবর জানিয়ে দেন।
মোহিত জানান, সুনীল ১ অক্টোবর স্যাম ডি’স্যুজাকে হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে মাদক পার্টির খবর দেন। পার্টিতে কে কে থাকবে সেই তালিকাও ছিল তাঁর কাছে৷ এর পরেই তিনি স্যামকে নাকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কোনও অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বলেন। এর পরেই এনসিবি অফিসার ভি ভি সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপি ঘনিষ্ঠ সুনীল পাটিল। যদিও এনসিপি নেতা নবাব মালিকের দাবি, সুনীল পাটিল বলে তাঁদের দলে কেউ নেই। এমন কাউকে তিনি চেনেন না।