মুম্বই: ভারতীয় রেলের সঙ্গে চলচ্চিত্রের সম্পর্ক বেশ গভীর৷ রেল শুধু ভারতীয় নাগরিকদের লাইফলাইনই নয়৷ চলচ্চিত্রকারদের ট্রেন প্রীতিও উল্লেখযোগ্য৷ বাংলায় ‘ভ্রান্তি বিলাস’ থেকে ‘ধন্যি মেয়ে’ ছবিতে দেখানো হয়েছিল একাধিক ট্রেন ও স্টেশন৷ এছাড়াও রয়েছে সত্যজিত রায়ের ‘নায়ক’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’৷ যেখানে ঘটনা আবহে বারাবার ঘুরে ফিরে এসেছে ট্রেন৷ আর হালফিলে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল ‘প্রাক্তন’৷ যে ছবির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুকে ছিল ট্রেন৷
আরও পড়ুন- অ্যাপে বলছে খাবার এসেছে, তবুও থাকলেন ‘অভুক্ত’, মোদী-মমতাকে খোলা চিঠি ক্ষুব্ধ প্রসেনজিতের
হিন্দিতেও একাধিক ছবি রয়েছে৷ যেখানে ট্রেনে শ্যুটিং হয়েছে৷ ‘ষোলে’, ‘গদর’, জব উই মেট’ ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’৷ আর ট্রেন নিয়ে কথা হলে যে সিনেমার কথা না বললেই নয়, সেটা হল ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’৷ সিমরান তখন লেহঙ্গা ধরে দৌঁড়চ্ছেন৷ আর ওমরেশ পুরীর গুরুগম্ভীর কন্ঠে অন্যতম সেরা ডায়লগ, ‘‘যা সিমরন যা, জি লে আপনি জিন্দেগি ’’৷
কিন্তু ট্রেনের শ্যুটিংয়ে কত খরচ জানেন? ২০১৫ সালে শেষ বার রেলের তরফে শ্যুটিং-এর ভাড়া ঠিক করা হয়েছিল৷ মানে মোদী আমলে৷ তার আগে রেলে শ্যুটিং-এর খরচ বেশ কমই ছিল৷ কিন্তু ২০১৫ সালের ১ অগস্ট থেকে যে রেট ঠিক হয়, তাতে রেলে শ্যুটিংয়ের সর্বনিম্ন দৈনিক খরচ ৪.৪৭ লক্ষ টাকা। যেটা আগে ছিল ২.৩১ লক্ষ টাকা। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’-র শ্যুটিংয় হয়েছিল ১৯৯৫ সালে৷ ফলে পুরনো হিসাবে অনেক কম টাকাই দিতে হয়েছিল যশ চোপড়াকে।
এছাড়া রেলের ‘ফিল্ম স্পেশাল ট্রেন’-এ থাকে চারটি সাধারণ বগি এবং একটি এসএলআর (সিটিং কাম লাগেজ ভ্যান)। শ্যুটিংয়ের জন্য ট্রেনটিকে সর্বাধিক ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যেতে পারে৷ প্যান্ট্র কারের ভাড়া আলাদা৷ প্রতিটি বগির নিরাপত্তার জন্য ৫০ হাজার টাকার হিসাবে সর্বনিম্ন খরচ ২.৫ লক্ষ টাকা৷