Aajbikel

‘পাড়ার দাদা নগ্ন করিয়ে শরীর দেখত’, তিক্ত স্মৃতির কথা জানালেন কঙ্গনা

 | 
কঙ্গনা

মুম্বই:  কন্যা সন্তান মানেই একটা বাড়তি উদ্বেগ৷ সমাজের খারাপ স্পর্শ থেকে বাঁচিয়ে তাদের বড় করে তোলাটা বড়ই কঠিন৷ কম বেশি যৌন হেনস্থা, জীবনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পেরিয়েই বড় হয়ে ওঠে শিশুরা৷ লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পায় না তারাও৷ লোভাতুর হাত ছুঁয়ে যায় কচি প্রত্যঙ্গ৷ যৌনতা কী বোঝার আগেই যৌন লালসার শিকার হতে হয় বহু শিশুকে৷ এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী ‘লকআপ’-এর সঞ্চালিকা তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও৷ নিজের মুখেই সে কথা জানালেন অভিনেত্রী৷ 

আরও পড়ুন- কী অসভ্য, বেয়াদপ বাচ্চা! তৈমুরের আচরণে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা

কঙ্গনা জানান, ছোট বেলায় যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকেও৷ তখন তিনি একেবারেই ছোট৷ পাড়ার এক দাদা নানা ছুতোয় তাঁকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করত৷ সেই সময় যা বোঝার ক্ষমতাও ছিল না তাঁর৷ ওই ছেলেটি তখন বয়ঃসসন্ধি দোরগোড়ায়৷ যৌন চিন্তায় মশগুল৷ ছোট্ট কঙ্গনাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখত সে৷ 


সেই তিক্ত স্মৃতি অকপটে জানিয়েছেন ‘ঝাঁসিল রানী’৷ তিনি বলেন, তাঁর পাড়ার সেই ছেলেটি তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যেত। তার পর জামা খুলিয়ে হা করে তাঁর নগ্ন শরীরের দিকে চেয়ে থাকত৷ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাঁকে দেখত৷ তখন এ সবের মর্ম বোঝার ক্ষমতা ছিল না তাঁর৷ কঙ্গনা জানান, তাঁর বয়সী আরও অনেক মেয়েকেই এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ যা দাগ কেটে গিয়েছে শিশুমনে৷ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ এর আসল অর্থ পরিষ্কার হয়েছে৷ তাঁরা বুঝতে পারে ঠিক কী হয়ে গিয়েছে তাঁদের সঙ্গে৷


সমাজের দিকে আঙুল উঁচিয়ে কঙ্গনার প্রশ্ন, ‘‘সেই সব শিশুদের অপরাধবোধে ভুগতে হয় কেন? শিশুদের এমন সংকটে কেন ফেলে এই সমাজ?" 


প্রসঙ্গত, কঙ্গনার লকআপ এখন দারুণ সাড়া ফেলেছে৷ তাঁর লকআপে থাকার অন্যতম শর্ত হল গোপন সত্য ফাঁস করা৷ প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে কঙ্গনা নিজেও অনেক সময় তাঁর গোপন কথা ফাঁস করে থাকেন৷  এবার তিনি মুখ খুললেন খারাপ স্পর্শ নিয়ে৷


 

Around The Web

Trending News

You May like