কলকাতা: দেব রুক্মিনীর সম্পর্ক টলিপড়ায় ওপেন সিক্রেট৷ তবুও তাঁদের জুটি নিয়ে চর্চার অন্ত নেই৷ দেব-রুক্মিণীর নতুন ছবি ‘কিশমিশ’ নিয়ে যেমন উন্মাদনার পারদ চড়েছে ভক্তদের মধ্যে, তেমনই তাঁদের বিয়ে নিয়েও আগ্রহ সীমাহীন৷
আরও পড়ুন- হৃত্বিকের অন্তর্বাসে হাত দিয়ে ছবি, তরুণীর সঙ্গে এ কী করছেন অভিনেতা!
পর্দায় মিষ্টি প্রেমের গল্প নিয়ে ফিরেছেন দেব-রুক্মিণী৷ সেই ছবির প্রচারেই দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হয়েছিল ‘কিশমিশ’-এর গোটা টিম৷ তবে মধ্যমণি অবশ্যই তারকা জুটি৷ আর সামনে যখন দাদা, তখন সিক্রেট ফাঁস তো হবেই৷ তাঁদের উদ্দেশে দাদার সটান প্রশ্ন, ‘বিয়ের কার্ড কবে পাচ্ছি?’ প্রশ্ন শুনে প্রথমে একটু ভ্যাবাচাকাই খেয়ে যান দেব৷ তবে তা ক্ষণিকের৷ মুহূর্তেই তাঁর জবাব, ‘আমাদের কে বিয়ে করবে দাদা’! তবে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে এসে এত সহজে কি ছাড় পাওয়া যায়! দাদাও ছাড়বার পাত্র নন৷ পাল্টা বলেন, ‘কেন একে-অপরকে বিয়ে করে নাও!’
এই অবস্থায় দেবের হয়ে ব্যাট ধরেন রুক্মিণী৷ তিনি বলেন, ‘এই তো ঠিক আছে’৷ সঙ্গে সঙ্গে রুক্মিণীর সুরে সুর মিলিয়ে দেব বলেন, ‘বিয়ে করলেই তো খরচা বাড়বে!’ কিন্তু সামনে যে দাদা৷ একেবারে গুগলি ছুড়লেন তিনি৷ অভিজ্ঞতা থেকে দিলেন পরামর্শ৷ সৌরভ বলেন, ‘‘বিয়ে করলে খরচ বরং কমবে৷ ইমপ্রেস করার জন্য আর পকেট খসাতে হবে না৷’’ দাদার কথায় সহমত জানান দেবও৷
২০১৭ সালে দেবের হাত ধরেই টলিউডে পা রাখেন রুক্মিণী৷ তাঁদের প্রথম ছবি ছিল ‘চ্যাম্প’৷ এর পর তাঁরা জুটি বেঁধে কাজ করেছেন,‘ককপিট’, ‘কবীর’, ‘কিডন্যাপ’, ‘পাসওয়ার্ড’-এর মতো ছবিতে৷ তাঁদের ছ’ নম্বর ছবি হল ‘কিশমিশ’৷ শুক্রবার ছিল সেই ছবির প্রিমিয়ার৷ প্রিয়া হলে হয়েছিল প্রিমিয়ারের আয়োজন৷ সেখানে জুটি বেঁধে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা৷ এছাড়াও এসেছিলেন ইশা সাহা, দিতিপ্রিয়া রায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, তৃণা সাহা, অরিন্দম শীল সহ টলিউডের বহু তারকারা৷ এক কথয়া বসেছিল চাঁদের হাঁট৷
এই ছবিতে দেবের নাম কৃশানু৷ পড়াশোনায় মাথা নেই তাঁর৷ স্বপ্ন জুড়ে শুধুই রোহিনী৷ এর আগে ছবির পোস্টার ও টিজারে চার রকম লুকে ধরা দিয়েছিলেন দেব৷ এটাই পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের প্রথম ছবি৷ কিন্তু কেন কিশমিশ? তাঁর কথায়, প্রেমটা হল অনেকটা কিশমিশের মতো৷ দেখতে খারাপ হলেও, খেতে মিষ্টি৷
এই ছবিতে ‘অবশেষে ভালোবেসে চলে যাব’ গানে রোম্যান্টিক মুডে ধরা দিয়েছেন তারকা জুটি৷ এই গান দেখতে দেখতে মনে হবে কোনও টাইম মেশিনে বসে আমরা যেন ফিরে গিয়েছি ৮০-র জগতে। ঘুড়িতে লেখা প্রেমপত্র, নাটক দেখতে দেখতে কাঁধে মাথা রাখা, সরস্বতী পুজোর হলুদ শাড়ি, সব মিলিয়ে যেন এক নস্ট্যালজিয়া৷ দেব-রুক্মিণীর রসায়নের মাদকতায় বুঁদ তাঁর ভক্তরা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>