মুম্বই: প্রয়াত ‘পরিণীতা’র পরিচালক প্রদীপ সরকার৷ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর৷ শুক্রবার সকালে পরিচালক হনসল মেহতা টুইট করে প্রথম এই খবরটি দেন। লেখেন, “প্রদীপ সরকার, দাদা, আপনার আত্মার শান্তি কামনা করিনি।”
আরও পড়ুন- দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম পোস্ট প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষীর, কী লিখলেন…
জানা গিয়েছে, ডায়ালিসিস চলছিল পরিচালকের৷ হঠাৎ করেই তাঁর শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়৷ রাত ৩ টে নাগাদ হাসপাতালে ভরতি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। আজ, শুক্রবার বিকেল ৪ টে নাগাদ সান্টাক্রুজে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে পরিবার সূত্রে খবর৷
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রদীপ সরকার৷ পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে বলিউডে পা রেখেছিলেন এই বাঙালি পরিচালক৷ বাঙালি হলেও, তাঁর কাডজের ক্ষেত্র ছিল মুম্বই৷ ২০০৫ সালে বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রোডাকশনে তৈরি হয় ‘পরিণীতা’৷ ওই ছবি দিয়ে পরিচালনায় আসেন প্রদীপ। ২০০৭ সালে ‘লগা চুনরি মে দাগ’ দর্শকদের মন দাগ কেটে যায়। এর পর ‘লাফাংগে পরিন্দে’ (২০১০) এবং ‘মর্দানি’ (২০১৪)-র মতো ছবিতেও সাড়া ফেলেছিলেন প্রদীপ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পরিচালক। কিডনি ডায়ালিসিস করা হচ্ছিল৷ তবুও রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বিপুল হারে কমতে থাকে। সেই অবস্থাতেই চিকিৎসা চলছিল৷ তবে শেষরক্ষা হল না।
কাজল ও ঋদ্ধি সেন অভিনীত ‘হেলিকপ্টার এলা’ই তাঁর পরিচালিত শেষ ছবি। কঙ্গনাকে নিয়ে নটী বিনোদিনীর বায়োপিক তৈরি করার কথা ছিল প্রদীপের। সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল৷ প্রদীপ সরকারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিপাড়া৷ কম সংখ্যাক ছবি করলেও তাঁর প্রতিটি সিনেমাই ছিল সফল৷ নব্বইয়ের দশকে রাজকুমার হিরানির সঙ্গে সিনেমায় কাজ শুরু তাঁর। ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর সহ-সম্পাদক হিসাবে বেশ কৃতিত্ব অর্জন করেন। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘পরিণীতা’-য় অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালান, সইফ আলি খান এবং সঞ্জয় দত্ত৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>