ছিলেন রাজেশ খান্নার নায়িকা, রাজ করতেন ভক্তদের হৃদয়ে! চিনতে পারছেন এই বলি সুন্দরীকে?

ছিলেন রাজেশ খান্নার নায়িকা, রাজ করতেন ভক্তদের হৃদয়ে! চিনতে পারছেন এই বলি সুন্দরীকে?

কলকাতা: তিনি পরমা সুন্দরী৷ এক সময় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন বলিউডে৷ অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি রূপের ছটায় মন ছুঁয়েছিলেন অগণিত ভক্তের৷ ছিলেন রাজেশ খান্নার নায়িকা। তিনি আর কেউ নন বিউটি কুইন আশা পারেশ৷ রুপোলি পর্দার এই সুন্দরী অভিনেত্রীর ছোটবেলার ছবি দেখলেও মুদ্ধ হতে হয়৷ কিন্তু কিংবদন্তী অভিনেত্রীর ছোটবেলার ছবি দেখেছেন কখনও? না দেখে থাকলে আপনাদের জন্য রইল তাঁর শৈশবের দুর্লভ এই ছবি। যৌবন কালের ছবির সঙ্গে কিশোরী আশার কোনও মিল খুঁজে পাচ্ছেন কি? 

আরও পড়ুন- খুনই করা হয়েছিল সুশান্তকে, বিস্ফোরক দাবি আমির খানের ভাইয়ের

কয়েক দশকের দীর্ঘ কেরিয়ার তাঁর৷ এক সময় বলিউডে একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন আশা পারেখ। পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন এই কিংবদন্তী৷ ছয় ও সাতের দশকে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের অতি জনপ্রিয় মুখ ছিলেন ‘লাভ ইন টোকিও’ খ্যাত এই অভিনেত্রী৷ মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসাবে ‘মা’ ছবির হাত ধরে বলিউডে অভিষেক তাঁর। ‘দিল দে কে দেখো’ ছবির পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। আসমুদ্র হিমাচল ছড়িয়ে পড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা। 

সেই সময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ‘হায়েস্ট পেইড’ অভিনেত্রী ছিলেন আশা পারেখ। নাম-যশ-খ্যাতির সঙ্গে তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়েছিল বিতর্কও। আমির খানের কাকা নাসির হুসেনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রীর৷ একবার এক সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি আশা জানিয়েছিলেন, তিনি নাসির হুসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু, তিনি এটা কখনই চাননি যে তাঁদের সম্পর্কের জেরে নাসিরের পরিবারের উপর কোনও প্রভাব পড়ুক। আর ঠিক সেই কারণেই একে অপরের হাত ধরে নতুন জীবনের পথে পা বাড়াননি তাঁরা৷ নতুন করে সম্পর্কেও জড়াননি৷ 

একবার এক সাক্ষাৎকারে আশা বলেছিলেন, ‘আমি বিয়ে করতে চাইনি এমনটা নয়। আমার মা আরও বেশি করে এটা চেয়েছিলেন। বিয়ের জন্য গয়না আর পোশাকও কিনে রেখেছিলেন। বিয়ের জন্য কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, যাঁদের সঙ্গে বিয়ের জন্য কথা হচ্ছিল তাঁদের কাউকেই আমার যোগ্য বলে মনে হয়নি। একসময় মা মরিয়া হয়ে আমার কুষ্ঠিবিচার করিয়েছিলেন। জ্যোতিষি বলেছিলেন, আমার বিয়ে নাকি খুব একটা সুখকর হবে না। আমি এই সব বিশ্বাস না করলেও জ্যোতিষের সিদ্ধান্তে বিয়ের ব্যাপার থেকে কিছুটা রেহাই পেয়ে গেলাম।’