মুম্বই: কেরিয়ারের প্রথম ছবি ছিল ব্লক ব্লাস্টার হিট৷ কিন্তু, এর পরেও সিলভার স্ক্রিনকে আলবিদা জানিয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী৷ ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবির সুমন আজও বহু পুরুষের হৃদস্পন্দন৷ কিন্তু কেন এভাবে অভিনয় জগৎ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি? তবে কি স্বামীর চাপে? এই প্রশ্ন দীর্ঘ দিনের৷ সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এসে এ বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী৷
আরও পড়ুন- এক মুহূর্ত তোমায় ফিরে পেতে, ১০০ বার তোমায় হারাতে রাজি, পিতৃদিবসে আবেগঘন কেকে-কন্যা তামারা
ভাগ্যশ্রী জানান, তাঁর উপর কারও চাপ ছিল না। নিজের বিবাহিত জীবন বাঁচিয়ে রাখতে আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যেই অভিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ ভাগ্যশ্রী এও জানান, সিনেমায় অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত তাঁর একার হলেও অনুরাগীরা কিন্তু তাঁর স্বামীকেই ভিলেন বানিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও সমলম খান অভিযোগ করেছিলেন, ভাগ্যশ্রীর এই সিদ্ধান্তের পিছনে অন্য কারণ ছিল। ম্যায়নে প্যার কিয়া ছবির দূর্দান্ত সাফল্যের পরেও নাকি তাঁকে প্রায় ৬ মাস বসে থাকতে হয়েছিল। কারণ তাঁকে একা সুযোগ দিতে কোনও পরিচালক রাজি ছিলেন না।
সলমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে সুপারহিট ছবি দিয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী৷ সুমনকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ৷ কিন্তু এর পরেও অভিনয়ের মোহ কাটিয়ে ভাগ্যশ্রী মন দিয়েছিলেন সংসারে৷ যা মেনে নিতে পারেননি তাঁর অনুরাগীরা৷ আপাতত সোশ্যাল মিডিয়াতেই মেলে তাঁর ঝলক৷ সেখানে দারুণ তৎপর তিনি৷ বিটাউনের পার্টিতেও ভাগ্যশ্রীর উপস্থিতি উজ্জ্বল৷ তবে এটা হালফিলের কথা৷ প্রায় ৩০ বছর অন্তরালেই কাটিয়েছেন অভিনেত্রী৷ সম্প্রতি টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠানে স্বামীর সঙ্গে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই ভাগ্যশ্রী জানান, অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ তাঁর একার।
ম্যায়নে প্যার কিয়া ছবির শ্যুটিং চলার সময়েই বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী৷ তিনি মন দিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলেন৷ তাই রুপোলি পর্দা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন৷ তিনি সেই সময় তাঁর লাভ লাইফকেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলেও জানান৷ কেরিয়ার এভাবে শুরুতেই শেষ করায় তাঁর ক্ষোভ নেই বলেও জানান তিনি৷ কারণ তাঁর সন্তানদের তিনি ভালো ভাবে মানুষ করতে পেরেছেন৷ এটাই তাঁর সাফল্য৷