কলকাতা: শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে গেল টলি পাড়ার শ্যুটিং৷ সরকারি নির্দেশিকা মেনে প্রতি ইউনিটে ৫০ জন কর্মী ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে শুরু হয়েছিল ধারবাহিকের শ্যুটিং৷ তাঁদের রীতিমতো হুমকি দিয়ে কাজ আসতে বারণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ কলাকুশলী ও ভেন্ডারদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিতেও বারণ করেছে ফেডারেশন৷ একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, লকডাউনের বিধিনিধেষ উপেক্ষা করেও যে সমস্ত ধারাবাহিকের কাজ চলেছে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ প্রডিউসার গিল্ডের সঙ্গে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে৷
আরও পড়ুন- প্রয়াত স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যা ভুগছিলেন ‘বিমলা’
এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেন প্রযোজন, বিভিন্ন চ্যানেলেক কর্তা ও আর্টিস্ট ফোরাম৷ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স-এর সভাপতি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিয়ম মেনে শ্যুটিং শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু ফেডারেশনের সমস্যা কোথায় বুঝতে পারছি না৷ কলকুশলীরা তার করতে চাইলেও ফেডারেশনের ভয়ে আসতে পারছে না৷ কাজ বন্ধ থাকলে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হবে৷’’ মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে কাজকে মান্যতা দিলেও ফেডারেশেন তা মানছে না বলেও অভিযোগ ওঠে বৈঠকে৷
প্রসঙ্গত, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘মিঠাই’, ‘অপরাজিতা অপু’, ‘যমুনা ঢাকি’, ‘রিমলি’, ‘তিতলি’, ‘ওগো নিরুপমা’, ‘খড়কুটো’, ‘কী করে বলব তোমায়’, ‘গ্রামের রানি বিনাপানি’, ‘বরণ’, ‘রিমলি’, ‘ফেলনা’, ‘খেলাঘর’, ‘সাঁঝের বাতি’, ‘মোহর’, ‘ধ্রুবতারা’, ‘দেশের মাটি’ সহ রয়েছে বেশ কিছু নতুন ধারাবাহিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ মোট ২০টি ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা লকডাউনের সময় কাজ করেছেন বাড়ি থেকে৷ ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন করে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সকল ধারাবাহিকে কাজ করবে না কোনও টেকনিশিয়ান৷