নিউ ইয়র্ক: পর্ন তারকাদের নিয়ে চাপা উত্তেজনা কাজ করে অনেকের মধ্যেই৷ অনেকের মনেই থাকে তাঁদের ছুঁয়ে দেখার সুপ্ত বাসনা৷ কিন্তু পর্ন তারকাদের নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাপ্তবয়স্ক ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেসমিন সেন্ট ক্লেয়ার৷ তাঁর কথায়, পর্ন তারকাদের জমানা এখন শেষ। হারিয়ে গিয়েছে তাঁদের জৌলুস৷
আরও পড়ুন- হঠাৎই অসুস্থ দীপিকা, মাঝরাতে ভর্তি করানো হল হাসপাতালে, কেমন আছেন অভিনেত্রী?
যাঁর দখলে রয়েছে ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ভঙ্গিতে রতিক্রিয়া করার রেকর্ড, তাঁর মুখে এহেন মন্তব্য শুনে হতবাক অনেকেই৷ খ্যাতনামা পর্ন তারকা জেসমিন সেন্ট ক্লেয়ারের সাফ কথা, পর্ন তারকাদের সেই গ্ল্যামার আর অবশিষ্ট নেই। আর এর জন্য দায়ী সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ত৷ জেসমিন মনে করেন, এক সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ, সেই সময়ে হাত বাড়ালেই কাউকে ধরার উপায় ছিল না৷ আর এই না পাওয়াকে কেন্দ্র করেই তৈরি হত অদ্ভুত উন্মাদনা৷ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার জমানায় সেই দূরত্ব অনেকটাই ঘুঁচে গিয়েছে৷ তারকারা এখন মানুষের অনেক কাছে পৌঁছে গিয়েছেন৷ সরাসরি না হলেও, ভারচুয়ালি তাঁরা এখন অনেক কাছে৷ পছন্দের তারকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় তাঁর অন্দরে৷ জানা যায় তাঁর দৈনন্দিন জীবনের হালহকিকত৷ প্রিয় তারকাদের এত কাছে পেয়েই ছিঁড়ে যাচ্ছে মোহের জাল৷ এমনটাই মত জেসমিনের৷
জনপ্রিয় এই পর্ন তারকার কথায়, এখনকার অ্যাডাল্ট ছবিতে পারফর্মাররা আছেন, কিন্তু ‘স্টার’ নেই৷ নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে ২০০০ সালের গোড়াতেই তারকাদের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে৷ প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে একটি নীল ছবির সূত্র ধরেই রাতারাতি খ্যাতির শিখড়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন জেসমিন৷ ওই ছবিতে ৩০০ জন পুরুষের সঙ্গে ৩০০ ভঙ্গিতে সঙ্গম করে রেকর্ড গড়েছিলেন অভিনেত্রী। পরে অবশ্য তিনি নিজেই ফাঁস করেছিলেন আসল সত্যটা৷ বলেছিলেন, এই ছবি ছিল পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে এযাবৎ কালে ঘটা সবচেয়ে বড় ফাঁকি। কারণ ছবিতে মাত্র ৩০ জনকে ব্যবহার করা হয়েছিল৷ কিন্তু যান্ত্রিক কৌশলে সেখানে ৩০০ জনকে দেখানো হয়৷ কারচুপি যতই হোক, এই ছবির দৌলতেই পর্ন দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি চেনা মুখগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছিলেন জেসমিন৷ পর্ন তারকা হিসেবে হল অফ ফেম-এর স্বীকৃতিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।