লুধিয়ানা: রাজ্যে কী ভাবে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব তা নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করার লক্ষ্যেই ছিল বৈঠক৷ সেখানে উপস্থিত শিক্ষকদের জন্য ঢালাও ‘লাঞ্চ’-এর বন্দোবস্তও করা হয়েছিল সরকারের তরফে। কিন্তু, বৈঠক শেষ না হতেই দেখা গেল খাবারের জায়গায় হুলস্থুল। ‘ফ্রি লাঞ্চ’-এর থালা হাতে নিয়ে একেবারে দক্ষযজ্ঞ৷ কে আগে থালা নেবে, তা নিয়ে শুরু হয় কাড়াকাড়ি৷ এমনকি, থালা পেতে দেরি হওয়ায় এক শিক্ষক অধৈর্য হয়ে খাবারের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তির ঘাড়ের উপর দিয়ে একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন৷ এই ঘটনাটি নেট পাড়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল। যা দেখে হতবাক রাজ্যের মানুষ৷ তাঁদের প্রশ্ন, এঁদের হাতেই কি শিক্ষার মানোন্নয়ন ভার?
আরও পড়ুন- কাল বৈশাখীর দাপটে কমেছে তাপদাহ, ফের স্কুল খোলার দাবিতে সোচ্চার শিক্ষক মহল
ঘটনাটি পঞ্জাবের৷ একটি সরকারি বৈঠকে এমনই কাণ্ডকারখানা করেন শিক্ষকরা। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান নিজে ওই বৈঠক ডেকেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, শিক্ষার উন্নতির স্বার্থে কোনও বদল আনা প্রয়োজন কি না, শিক্ষকদের কাছ থেকে সেই পরামর্শ নেবেন৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাবের নতুন শিক্ষামন্ত্রী গুরমীত সিং মীত হায়ারও। ৫৭টি বাসে করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং আধা সরকারি স্কুলের ২৬০০ জন শিক্ষককে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই বৈঠকে৷ লুধিয়ানার একটি রিসর্টে সমস্ত আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বাধে এই কাণ্ড! এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন পঞ্জাবের এক সাংবাদিক৷
পঞ্জাবের এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল সম্প্রতি কলকাতায় আয়োজিত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের কথা৷ সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশ বিদেশের তাবড় তাবড় শিল্পপতিরা। সেখানেও ছিল ঢালাও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন৷ ওই সম্মেলনের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল৷ যেখানে দেখা গিয়েছিল খাবারের জন্য হুড়োহুড়ি করছেন আমন্ত্রিতদের একাংশ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>