কাল বৈশাখীর দাপটে কমেছে তাপদাহ, ফের স্কুল খোলার দাবিতে সোচ্চার শিক্ষক মহল

কাল বৈশাখীর দাপটে কমেছে তাপদাহ, ফের স্কুল খোলার দাবিতে সোচ্চার শিক্ষক মহল

কলকাতা: এক কালবৈশাখীর ধাক্কাতেই অনেকটা ঠাণ্ডা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ৷ কমেছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনেও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যার জেরে তাপমাত্রার পারদও থাকবে নিম্নমুখী৷ এই পরিস্থিতিতে টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি নিষ্প্রয়োজন৷ অন্তত কয়েক দিনের জন্য খুলে দেওয়া হোক স্কুল৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে এমনই আর্জি জানালেন স্কুল শিক্ষকদের একাংশ৷ 

আরও পড়ুন- ব্রেকিং: স্কুল শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ব্যাপক রদ বদল, পুরনো কমিটি ভাঙলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, তীব্র গরমে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে লম্বা গরমের ছুটির ঘোষণা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমনটা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, লম্বা ছুটি ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি৷ কমেছে তাপমাত্রার পারদ৷ কিন্তু নতুন করে গরমের ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেনি সরকার। গ্রীষ্মের ছুটি চলেছে টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। সৌগতবাবুর কথায়, “এ বারেও সেই একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ বার যদি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখা হয়, তা হলে পড়ুয়াদের জন্য তা ভাল হয়। কারণ, করোনার দাপটে এ বছর শিক্ষাবর্ষ অনেক দেরিতে শুরু হয়েছে। ফলে পড়ুয়ারাও পড়াশোনায় পিছিয়ে রয়েছে৷ এই অবস্থায় টানা দেড় মাস ছুটি থাকলে তারা আরও পিছিয়ে পড়বে।” 

সেই দিকটি বিবেচনা করেই গরমের ছুটি কমানোর আর্জি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা দফতরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর কথায়, বহু অভিভাবকও এত লম্বা গরমের ছুটি চাইছেন না। তাঁরা মনে করছেন, প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়নের পর গরমের ছুটি পড়লে ভাল হত। সেই সময় গরমের ছুটি পেলে তার মধ্যে পরবর্তী পড়া তৈরি করতে পারত পড়ুয়ারা। কিঙ্কর আরও বলেন, “লম্বা ছুটিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন শিক্ষকরাও৷ অনেকেই বলে থাকেন শিক্ষকদের চাকরি তো ছুটিরই। করোনায় দীর্ঘ ছুটির পর ফের দেড় মাস গরমের ছুটি। কিন্তু বাস্তব হল, অনেক শিক্ষকই এত লম্বা গরমের ছুটির পক্ষে নন৷ আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে গরমের ছুটি বাড়ানো কমানো হোক।”