নয়াদিল্লি: লকডাউন কাটিয়ে দেশ ঢুকে পড়েছে আনলকে৷ কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি এখনও ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে৷ পুরনো রেকর্ড ভেঙে সংক্রমণের নতুন ঢেউ আছড়ে পড়েছে হরিয়ানা এবং রাজস্থানে৷ সংক্রমণ বাড়ছে উত্তর ও পশ্চিমের আরও কিছু রাজ্যে৷ সংক্রমণ রুখতে বহু রাজ্য ফের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই প্রথম হরিয়ানায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ যার জেরে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হরিয়ানা সরকার৷ পাঁচটি জেলায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ৷ অনির্দিষ্টকালের জন্য ভদোদরা, সুরাত, আমেদাবাদ এবং রাজকোটে রাত্রিকালীন কার্ফু ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার৷
আরও পড়ুন- হাতে আর ১০ দিন, স্কুলগুলিকে ফি প্রদান করতে হবে অভিভাবকদের
রাজস্থানে শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৭৬২৷ এর পরেই ৩৩টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ৷ সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর৷ এদিকে গত ২৩ নভেম্বর স্কুল খোলার অনুমতি দিয়েছিল মহারাষ্ট্র৷ বলা হয়েছিল একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে৷ কিন্তু শুক্রবার মুম্বই, থানে, নবি মুম্বই এবং পানভেল পুরসভা স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়৷ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে বলেই ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেইসঙ্গে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে চলেছে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ বিমান ওঠা নামা এবং ট্রেন চলাচলের উপরেও বিধি নিষেধ আরোপের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- ভোটের আগে আদৌ হবে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা? এখনও শেষ হয়নি সিলেবাস!
মধ্যপ্রদেশে নাইট কার্ফু জারি করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান৷ পাঁচটি জেলায় এই কার্ফু চলবে৷ এই পাঁচ জেলা হল ভোপাল, ইন্দোর, গোয়ালিয়র, রতলাম এবং বিদিশা৷ এই পাঁচ জেলায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৫ শতাংশ বেশি৷ শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫২৮৷ হরিয়ানাতেও ক্রমশ জটিল হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি৷ স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার৷