কলকাতা: আগামী দিনে ছাত্রছাত্রীরাই বিশ্ব বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করবে৷ তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতেই এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড৷ বুধবার নবান্নের বৈঠক থেকে এণনটীই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ক্ষমতায় এলেই স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প আনা হবে৷ সেই মতোই এই প্রকল্প আনা হল৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যা কথা দিই তা করে দেখাই৷ এই কার্ড নিয়ে যাতে জালিয়াতি না হয়, সে বিষয়েই সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যাতে কেউ প্রতারণা করতে না পারে৷
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে ফের ফিরলেন মানিক ভট্টাচার্য
তিনি বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, প্রাথমিকের পড়ুয়াদের পোশাক, স্কুল ব্যাগ ও জুতো দেওয়া হয়৷ এছাড়াও রয়েছে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপ৷ অনলাইন পড়াশোনার জন্য দ্বাদশের পড়ুয়াদের ট্যাপ বা স্মার্টফোন কেনার জন্য ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ১০ হাজার টাকা দিচ্ছে রাজ্য৷ এবার নিয়ে আসা হয়েছে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড৷ এই প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা৷ এর জন্য গ্যারান্টার হবে রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্টুডেন্টস কার্ডের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হল, দশম শ্রেণি থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর থেকে ডাক্তারি, গবেষণা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঋণ পাওয়া যাবে৷ এমনকী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে বিভিন্ন কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্যেও ঋণ পাওয়া যাবে৷ যেখানে আইএএস, আইপিএস, ডব্লিউবিসিএস সহ অন্যান্য পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত করা হয়৷
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এর কতগুলি বিশেষ দিক আছে৷ লেখা পড়ার যাবতীয় খরচ, কোর্স ফি, টিউশন খরচ, হোস্টেল ফি, বই, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার জন্যেও ঋণ পাওয়া যাবে৷ বাংলায় বসবাসকারী ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে, এমনকী বিদেশে অবস্থিত যে কোনও স্বীকৃত প্রাপ্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার জন্য এই ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পাবে৷ ৪০ বছর পর্যন্ত এই ঋণ পাওয়া যাবে৷ পয়সার অভাবে যাঁরা পড়াশোনা করতে পারেনি, যাঁরা গবেষণা করতে চায় বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বসতে চায় তাঁদের কথা ভেবেই ৪০ বছর পর্যন্ত সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে৷ এই ক্রেডিট কার্ডে ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর৷
আরও পড়ুন- মূল্যায়নে গুরুত্ব নবম-একাদশে, নম্বর বাড়ানোর চাপে নাজেহাল প্রধান শিক্ষকরা
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ পাওয়া যাবে৷ ব্যাঙ্কিং সেক্টর থেকেও পাওয়া যাবে৷ আবেদন করতে হবে অনলাইনে৷ কোর্স চলাকালীন যে কোনও সময় আবেদন করা যাবে৷ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আর চিন্তা করতে হবে না অভিভাবকদের৷