মূল্যায়নে গুরুত্ব নবম-একাদশে, নম্বর বাড়ানোর চাপে নাজেহাল প্রধান শিক্ষকরা

মূল্যায়নে গুরুত্ব নবম-একাদশে, নম্বর বাড়ানোর চাপে নাজেহাল প্রধান শিক্ষকরা

কলকাতা: করোনা আবহে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বাতিল করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷ কী ভাবে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে, সে বিষয়েও পর্ষদ ও সংসদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে একাধিক গরমিল৷  দশম ও দ্বাদশের মূল্যায়নে নবম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে নম্বরের ‘হেরাফেরি’৷ এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে স্কুলগুলির কাছ থেকে মার্কস রেজিস্টার চাওয়া হতে পারে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ ও সংসদ৷

আরও পড়ুন- নয়া মূল্যায়ন পদ্ধতির ফায়দা তুলে মাধ্যমিক পাশ করতে চাইছে লক্ষাধিক ‘ভুয়ো’ পরীক্ষার্থী

প্রসঙ্গত, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল নবম শ্রেণির মার্কশিট ও দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই এই মার্কশিট তৈরি করা হবে৷ উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বলা হয়, মাধ্যমিক পরীক্ষার ৪টি বিষয়ের সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বরের ৪০ শতাংশ, ২০২০ সালের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক থিওরি পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্রোজেক্ট বা প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর যুক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে৷ পর্ষদ ও সংসদের এই নির্দেশ আসার  পর থেকেই চাপে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ নবম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর বাড়ানোর জন্যে প্রধান শিক্ষকদের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়ানো হচ্ছে৷ চলছে ঘেরাও, অবরোধ৷ কেনও কোনও জায়গায় শিক্ষকদের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে৷ এই বেগতিক পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তা চেয়ে স্কুলশিক্ষা দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে আর্জি জানিয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠন৷ 

আরও পড়ুন- উপাচার্যের নামে ছাত্র-কর্মীদের ভুয়ো ই-মেল পাঠিয়ে নানা দাবি, প্রতারণার অভিযোগ থানায়

স্কুলের পড়ুয়ারা তো বটেই, অনেক জায়গায় নম্বর বাড়ানোর দাবি নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন অভিভাবকরাও৷ নম্বর পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হচ্ছে৷ একই চিত্র ধরা পড়েছে প্রায় প্রতিটি জেলাতেই৷  বীরভূমের মহম্মদ বাজারের ডামরা হাইস্কুলের ৬০ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা নম্বর বাড়ানোর দাবিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করেন৷ মাঝ রাত পর্যন্ত তাঁকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ প্রধান শিক্ষক অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নম্বর পাঠানো হয়ে গিয়েছে৷ তাই নম্বর বাড়ানোর কোনও প্রশ্নই নেই৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 7 =