মাধ্যমিকে সবাই পাশ, সর্বোচ্চ নম্বর ৭৯ জনের ঝুলিতে, সন্তুষ্ট না হলে পরীক্ষার সুযোগ

মাধ্যমিকে সবাই পাশ, সর্বোচ্চ নম্বর ৭৯ জনের ঝুলিতে, সন্তুষ্ট না হলে পরীক্ষার সুযোগ

 

কলকাতা: প্রকাশিত হল ২০২১-এ মাধ্যমিকের ফলাফল৷ এই প্রথম মেধাতালিকা ছাড়া ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্যদ৷ উল্লেখযোগ্য  ভাবে এই বছর পাশ করেছেন ১০০ শতাংশ পড়ুয়া৷ যা এক কথায় অভূতপূর্ব৷ গত বছর পাশের হার ছিল ৮৬.৩৪ শতাংশ৷ সর্বোচ্চ নম্বর ৬৯৭৷ মোট ৭৯ জন পরীক্ষার্থী এই নম্বর পেয়েছেন৷ গত বছর সর্বোচ্চ নম্বর ছিল ৬৯৪৷  ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ 

আরও পড়ুন- মেধা তালিকা ছাড়াই প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল

এ বছর ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৪,৬৫,৮৫০। ছাত্রীর সংখ্যা ৬,১৩,৮৪৯। তবে করোনা আবহে এ বছর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ নবম শ্রেণির মার্কশিট ও দশম শ্রেণির ইন্টারনাল ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্টের নম্বরের ভিত্তিতেই এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট তৈরি করা হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষার্থী এই নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে তাঁরা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ সেক্ষেত্রে পরীক্ষার ফলই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে৷ বিকল্প মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রকাশিত ফলাফল বাতিল হয়ে যাবে৷  

আরও পড়ুন- কিছুদিন আগেও ছিলেন ঝাড়ুদার, আজ তিনিই ডেপুটি কালেক্টর

এদিন মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ বছর সকল পড়ুয়াই পাশ করেছে৷ তিনি আবার জানান, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল ও দশম শ্রেণীর অভ্যন্তরীন পরীক্ষার ফল থেকে পঞ্চাশ শতাংশ নিয়ে মাধ্যমিকের রেজাল্ট তৈরি করা হয়েছে। কেউ এই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলে পরে পরীক্ষা দিতে পারবেন৷  তবে পরীক্ষা নেওয়া হবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর৷

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। জীবনের প্রথম এত বড় একটা পরীক্ষাকে হাস্যকর পর্যায়ে নামিয়ে আনা হল। প্রকৃত মেধা তার মর্যাদা পেল না। ১০০% পাশ করিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে অস্বীকার করা হল। যার মধ্য দিয়ে সরকার অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করল। অতিমারির সুযোগে শিক্ষাব্যবস্থাকে ছেলেখেলার পর্যায়ে নামিয়ে আনা হল। আগামী দিনে শিক্ষার মান বজায় রাখতে পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষা ব্যবস্থাকে কী ভাবে সচল রাখা যায় এখন থেকে আগামীর পরিকল্পনা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *