১১ মাস পর খুলেছে বাংলার স্কুল, বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের! রয়েছে গুচ্ছ শর্ত

১১ মাস পর খুলেছে বাংলার স্কুল, বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের! রয়েছে গুচ্ছ শর্ত

কলকাতা: ইঙ্গিত ছিলই৷ সেই মতো ১২ ফেব্রুয়রি থেকে খুলতে চলেছে রাজ্যের স্কুল৷ সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে চলবে স্কুলের পঠনপাঠন৷ তবে এখনই সকল শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে না৷ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ নীচু শ্রেণির ক্লাস কবে থেকে চালু করা হবে, সেই বিষয়ে অবশ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷ 

আরও পড়ুন-  ‘খুলছে না স্কুল’! ভুয়ো খবরে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি! পড়ুন, ঠিক কী বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী?

স্কুল খোলার বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলের নির্ধারিত সময়ে একটি করে ক্লাস নেওয়া হতে পারে৷ স্কুলের পরিকঠামোর উপর ভিত্তি করে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রতিটি ক্লাসকে দুই বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক ঘরে ভাগ করে দিতে হবে৷ ক্লাসে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং সহ কোভিড বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক৷ শুধু ছাত্রছাত্রীরাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদেরও কোভিড মেনে চলতে হবে৷ স্কুল খোলার পর থিওরি ক্লাস ছাড়াও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নেওয়ার দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের৷ 

এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্কুল খোলার আগে গোটা স্কুল ভালো ভাবে স্যানিটাইজ করতে হবে৷ স্কুল চলার সময় সমস্ত কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে৷ এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যেও সঠিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷ 

শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন- কলেজের সেমিস্টার কবে? সরস্বতী পুজো আদৌ হবে? বৈঠকে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত রাজ্যের

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা হলেও এখনই খুলছে না রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি৷ বুধবার উপাচার্যদের সঙ্গে কলেজ খোলার বিষয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ওই বৈঠকেই আপাতত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কলেজের বাকি থাকা সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলি অনলাইনে নেওয়া হবে৷ 

করোনাকালে গত বছর মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল, অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে নবম, থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে যেতে পারবে। কিন্তু সেই সময় রাজ্য সরকার ওই সিদ্ধান্তে সহমত হয়নি৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে স্কুল খোলা হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়৷ অবশেষে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলছে স্কুলের দরজা৷    

স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক  কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় ‘Reopening of schools’ কথাটিতে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। বিদ্যালয় তো খোলাই রয়েছে। সমস্ত অফিশিয়াল কাজকর্ম প্রতিদিন চলছে৷ কেবল পঠন পাঠনের কাজ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীগণ প্রধান শিক্ষকের রোস্টার অনুযায়ী প্রতিদিন বিদ্যালয় যাচ্ছেন৷ বিদ্যালয় খোলার পরিবর্তে পঠন-পাঠন শুরুর কথা নির্দেশিকায় বলা উচিত ছিল৷  নির্দেশিকা জারি করে MAY BE, CAN BE, COULD BE কথাগুলির মানে কি? এতে বিভ্রান্তি ছড়াবে। নির্দেশিকা স্পষ্টভাবে আসা দরকার৷’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সরকারের কাছে আবেদন করছি, যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করার জন্য প্রতিটি জেলার প্রতিটি রুটে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হোক৷ এখনও পর্যন্ত ভিন্ন জেলায় বহু ট্রেন বাতিল অবস্থায় রয়েছে৷ এর ফলে দূর-দূরান্ত থেকে যাঁরা যাতায়াত করেন তাঁরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হবেন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 12 =