তমলুক: অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ও জনবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ বাতিলের দাবিতে আজ রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি। আজ রাজ্যের সমস্ত জেলার ডিএম, এসডিও, ডিআইএর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উদ্দেশ্যে তারা স্মারকলিপি পাঠানোর পাশাপাশি সর্বত্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন- দলীয় কোন্দলের চাপ? বিধায়কদের নিয়ে ‘গোপন’ বৈঠক শুভেন্দুর
এই কর্মসূচিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও কাঁথিতে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। তমলুক মানিকতলায় জমায়েত হয়ে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত তারা পদযাত্রা করে। শেষে হাসপাতাল মোড়ে সভা হয়। সেই সঙ্গে ডিআই (প্রাথমিক), ডিআই (মাধ্যমিক) ও জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেয়। সমগ্র কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু শেখর দাস, আব্দুল মাসুদ, সতীশ সাউ , পূর্ণচন্দ্র সামন্ত, আনন্দ হান্ডা সহ প্রমূখ। অন্যদিকে, একই দাবিতে কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে সভা করে একদল অভিভাবক-ছাত্র-শিক্ষক। তারপর মিছিল করা হয় কাঁথি শহর জুড়ে। কাঁথিতে এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বাপ্পাদিত্য নায়ক, সৌমেন প্রধান, স্বপন কুমার ভৌমিক প্রমুখ।
সেভ এডুকেশন কমিটির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক শুভেন্দু শেখর দাস জানিয়েছেন, “WHO, ICMR, UNICEF সহ দেশের বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। জন জীবনের সর্বক্ষেত্র প্রায় স্বাভাবিক করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও শিক্ষার সর্বাত্তক বেসরকারিকরণের পরিকল্পনাকারী জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০-র পরিকল্পনা কার্যকরী করার লক্ষ্যে আমাদের রাজ্য সরকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে, যাতে রাজ্যের মানুষ তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার স্বার্থে প্রাইভেট সংস্থার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়। একাধিক অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া যায়। আমরা এই নীতির চূড়ান্ত বিরোধিতা করছি এবং অনতিবিলম্বে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলে পঠন-পাঠন চালুর দাবি করছি।” সেই সঙ্গে তিনি দুয়ারে শিক্ষালয়ের বিরোধিতা করে বলেন, সরকার প্রথম শ্রেণী থেকে স্কুল খোলার এই দাবি না মানলে সর্বস্তরের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ করে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।