কলকাতা: বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিজেপির অন্দরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে রয়েছে তা এখন রাজ্য রাজনীতির অন্যতম আলোচ্য বিষয়। একাধিক নেতা, বিধায়ক তোপ দেগেছেন দলের বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধের একাংশ নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। আবার সম্প্রতি বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে বহিষ্কার করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে থেকে। এই আবহে আজ সল্টলেকে নিজের বাড়িতে বিজেপি কয়েকজন বিধায়ক নিয়ে ‘গোপন’ বৈঠক সারলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- ৪ বছর ধরে ওয়েটিং-এ! জনপ্রতিনিধিদের বার্তা দিয়ে টুইট গ্রুপ ডি ঐক্য মঞ্চের
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আজকের এই বৈঠকে কমপক্ষে ১০ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এটি দলীয় বিধায়কদের নিয়ে রুটিন বৈঠক ছিল। এমনিতেই বিজেপি কমিটি নিয়ে বিদ্রোহ বর্তমান, বিভিন্ন সময় বৈঠক চলছে দলের মধ্যে। এবার এই আবহেই নিজের মতো আলাদা বৈঠক সারলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। ঠিক কী নিয়ে বৈঠক তা জানা না গেলেও বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বৈঠকে ঢোকার আগে জানিয়েছেন যে তাঁর সঙ্গে আগে শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয়নি, তাঁকে এখানে ডাকা হয়েছে বলেই তিনি এসেছেন। তবে মনে করছেন যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। কিন্তু আদতে এই নিয়ে নাকি এর বাইরে রয়েছে অন্যকিছু বিষয়, তা স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি বিধানসভায় রাজ্যকে রাজ্যপালের আক্রমণ এবং তার পর প্রজাতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল কথোপকথন না হওয়াকে কেন্দ্র করে এমনিতেই জোর বিতর্ক। বিজেপি বিধায়ক, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাজ্যপালকে সমর্থন করেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হলেও তাঁর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি রাজ্যপালের। উলটে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান রাজ্য সরকারের তরফে আমন্ত্রণ জানান হয়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। বিতর্ক আরও বৃদ্ধি পায় এতে। আজকের বৈঠকের সঙ্গে এই ঘটনাগুলির সম্পর্ক আছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।