সুপ্রিম রায়ে এবার এমএড-রাও কলেজে অধ্যাপনার অধিকারি

সুপ্রিম রায়ে এবার এমএড-রাও কলেজে অধ্যাপনার অধিকারি

নয়াদিল্লি: এমএ ইন এডুকেশন না এমএড? এডুকেশন বা শিক্ষা বিজ্ঞানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের৷ এ রাজ্যে কলেজে নিয়োগের জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশন (সিএসসি) এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর পরীক্ষায় বরাবরই অগ্রাধিকার পেয়েছেন এডুকেশনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রার্থীরা৷ সেখানে বরাবরই ব্রাত্য থেকেছেন এমএড উত্তীর্ণরা৷ তবে সুপ্রিম রায়ে এবার হয়তো বদলাতে চলছে বঞ্চনার ইতিহাস৷  

আরও পড়ুন- পুলিশ-কাকুর স্কুলে জীবন গড়ছে রাজধানীর ‘গরিব’ ভবিষ্যৎ

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা আনন্দ যাদবের করা  জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মাস্টার্স অফ এডুকেশন (এমএড) ডিগ্রিধারীরাও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর যোগ্য৷ শীর্ষ আদালতের এই রায়ে এমএ ইন অডুকেশন আর এমএড ইন এডুকেশনে আর কোনও পার্থক্য রইল না৷ গত ১২ অক্টোবর এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি এমকে কওল, কৃষ্ণা মুরারি এবং অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ জানায়, এবার থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার জন্য এমএড ডিগ্রিধারীদের আবেদনের ক্ষেত্রে আর কোনও আপত্তি রইল না৷ এই মামলার পার্টি ছিল ইউজিসি এবং এনসিটিই৷ এদিন এনসিটিই-ও স্বীকার করে নেয় যে এমএড প্রার্থীরা কলেজে অধ্যাপনার জন্য যথেষ্ট যোগ্য৷ 

আরও পড়ুন- মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নিয়মে বছর নষ্টের আশঙ্কায় বহু পরীক্ষার্থী

এর আগে ইউজিসি জানিয়েছিল, এমএ ইন এডুকেশন এবং এমএড ডিগ্রি সমমানের নয়৷ এমএ ইন এডুকেশন হল অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি৷ আর এমএড হল প্রফেশনাল ডিগ্রি৷ কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ইউজিসি’র নেট পরীক্ষায় বসার জন্য উভয় ডিগ্রি প্রাপকরাই আবেদন জানাতে পারেন৷ ফলে কলেজে অধ্যাপনার ক্ষেত্রেও এই বিষয়ে কোনও বিভেদ থাকা উচিত নয়৷ এই সমস্যা রয়েছে পশ্চিমবাংলাতেও৷ দু’বছর আগে সরকারি ডিগ্রি  কলেজে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘অপর্যাপ্ত যোগ্যতা’র কারণ দর্শিয়ে এমএড প্রার্থীদের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল৷ এমনকী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সকল প্রার্থীকে স্ক্রিনিং টেস্টের জন্য ডাকা হয়েছিল, পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁদের নামও খারিজ করে দেওয়া হয়৷ কিন্তু প্রার্থীদের অভিযোগ, বিজ্ঞাপনের সময় এ বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল না৷ অন্যদিকে, সিএসসি’র মাধ্যমে কলেজে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশ না থাকলেও অগ্রাধিকার পান এমএ ইন এডুকেশন প্রার্থীরাই৷ এবার সুপ্রিম রায়ে এই সমস্যার সমাধান হল বলেই মনে করা হচ্ছে৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =