কলকাতা: দীর্ঘ ১০ মাস পর আগামীকাল থেকে খুলতে চলেছে স্কুলের দরজা৷ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার৷ তবে আপাতত অনলাইনেই পঠন পাঠন চলবে ছোটদের৷ খুলছে না কলেজও৷ স্কুল খোলা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কোভিড বিধি মেনেই চলবে ক্লাস৷ তবে স্কুল খোলার পর কোনও পড়ুয়া যদি করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে তার দায় কার?
আরও পড়ুন- স্কুল খুললেও মাদুলি-তাবিজ-কবজে ‘না’ রাজ্যের, জারি নির্দেশিকা
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রথম সারির বেসরকারি স্কুল মুচলেখা দিয়ে জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়া কোভিড আক্রান্ত হলে তার দায় স্কুল কর্তৃপক্ষের নয়৷ আর এই মুচলেখাকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে৷ রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও শিক্ষা জগতের মানুষরা মনে করছেন এহেন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অমানবিক৷ স্কুল তাদের দায় এড়িয়ে যেতে চাইছে৷ আর এর জেরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের পাল্টা সাফাই, অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতেই নাকি এহেন মুচলেখা৷
স্কুলের এই বক্তব্যের পর অভিভাকরা বলছেন, দিনের অনেকটা সময়ই স্কুলে কাটাবে ছেলেমেয়েরা৷ সে ক্ষেত্রে স্কুলের একটা দায়িত্ব থেকেই যায়৷ কোভিডের আগে স্কুলে কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে বা কোনও কারণে চোট পলে অভিভাবকদের জানানোর পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার দায়িত্ব ছিল স্কুলেরই৷ কোভিড পরিস্থিতিতে সে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়৷ সঠিক ভাবে স্যানিটাইজেশন করা বা ছাত্রছাত্রীরা ঠিক মতো দূরত্ব বিধি মেনে চলছে কিনা, মাস্ক পরছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব স্কুলের উপরেই বর্তায়৷ কিন্তু মুচলেখা দিয়ে আগে থেকেই তো দায়িত্ব থেকে হাত তুলে নিল কিছু স্কুল৷
আরও পড়ুন- বদলে গেল ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বিধানসভায় ঘোষণা পার্থর
এহেন সিদ্ধান্তে নাখুশ রাজ্যের বিশিষ্টজনেরাও৷ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, কৌশিক সেনের মতো ব্যক্তিত্বদের মতে, স্কুলগুলির এই সিদ্ধান্ত ‘অমানবিক’৷ দায়বদ্ধতা এড়ানোর চেষ্টা। আর স্কুল বলছে অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য এই মুচলেখা৷ এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক৷
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খলো হবে৷ সেই মতো স্কুলগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে স্যানিটাইজেশনের কাজ৷ কোভিড বিধি মেনেই ক্লাস হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর৷