কলকাতা: সরকারি নির্দেশিকা মেনে আগামী শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুলগুলি৷ দীর্ঘ ১০ মাস পর ফের স্কুল মুখো হবে পড়ুয়ারা৷ যদিও প্রতিটি ক্লাস নয়৷ কেবল মাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাই আপাতত স্কুলে গিয়ে ক্লাস করব বলে জানানো হয়েছে৷ কিন্তু সেই সঙ্গে জারি করা হয়েছে গুচ্ছ শর্ত৷ কোভিড বিধি তো রয়েছেই৷ সেই সঙ্গে বলা হয়েছে মাদুলি-তাবিজ-কবজ বা অন্য কোনও অলঙ্কার পরে স্কুলে আসতে পারবে না পড়ুয়ারা৷
আরও পড়ুন- বদলে গেল ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বিধানসভায় ঘোষণা পার্থর
করোনা আবহে গত বছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুলের পঠনপাঠন৷ অনলাইনেই চলছে ক্লাস৷ তবে সম্প্রতি করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার৷ তবে এখনই খুলছে না রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি৷ এই বিষয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ ওই বৈঠকে বলা হয় কলেজ খুললে হোস্টেলও খুলে দিতে হবে৷ করোনা আবহে তা খোলা সম্ভব নয়৷ এছাড়াও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল স্থানীয়রা আসেন না৷ বহু দূর থেকে এমনকী ভিন রাজ্য থেকেও পড়ুয়ারা আসেন৷ ফলে সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ তাই আপতত খুলছে শুধু স্কুল৷
আরও পড়ুন- প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব দেবে সরকার! ‘তরুণের স্বপ্ন’ মুখ্যমন্ত্রীর
স্কুল খুললেও সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক রাজ্য সরকার৷ শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ সেখানে স্পষ্ট বলে হয়েছে, মাদুলি-তাবিজ-কবজ পরে স্কুলে আসা চলবে না৷ স্কুল শিক্ষা দফতরের পাঠানো নির্দেশিকায় একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে৷ তবে এই অলঙ্কার সংক্রান্ত নির্দেশিকা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে শিক্ষক মহলের একাংশের৷ কারণ এর সঙ্গে ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে রয়েছে৷
যদিও এই বিষয়ে পড়ুয়াদের সতর্ক করা হবে বলেই জানানো হয়েছে৷ এছাড়াও ক্লাসে দূরত্ব বিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং একে অন্যের বই-খাতা স্পর্শ না করার বিষয়েও সতর্ক করা হবে৷ এছাড়াও পড়ুয়ারা যাতে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে টিফিন ভাগ করে না খায়, তার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷