গরমে পড়ুয়াদের সুস্থ রাখতে ‘মর্নিং স্কুল’ চালু করার নির্দেশ শিক্ষা দফতরের

গরমে পড়ুয়াদের সুস্থ রাখতে ‘মর্নিং স্কুল’ চালু করার নির্দেশ শিক্ষা দফতরের

b04aef00f00c399b72b8878926b6e460

কলকাতা:  সূর্যের প্রবল তেজে জ্বলছে রাজ্যবাসী৷ সকাল থেকেই আকাশে কড়া রোদ৷ তেতেপুড়ে একসার অবস্থা৷ এই পরিস্থিতিতে খুদেদের নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা৷ বিভিন্ন জায়গায় স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে৷ সেই দাবি কার্যকর না হলেও, পড়ুয়াদের শরীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিকাশ ভবন৷ সোমবার একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গরমে পড়ুয়ারা যাতে সুস্থ থেকে স্কুল করতে পারে, সেই জন্য প্রাথমিক, এসএসকে, এমএসকে থেকে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক- প্রতিটি স্তরেই ‘মর্নিং স্কুল’ চালু করতে হবে৷ অর্থাৎ রোদ থেকে বাঁচতে সকাল সকাল স্কুলে যাবে পড়ুয়ারা৷ 

আরও পড়ুন- তৃতীয় ভাষা সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি পর্ষদের

সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, মর্নিং স্কুল চালু করা হলেও পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতে কোনও রকম ঘাটতি না-হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। নির্দিষ্ট সময় মেনে প্রতিটি ক্লাস করতে হবে৷ তবে কবে থেকে এই নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হবে,তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি৷ বিকাশ ভবনের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও কারণে কোনও স্কুল যদি সকাল থেকে পঠনপাঠন শুরু করতে না পারলে সেক্ষেত্রে গরমের হাত থেকে পড়ুয়াদের রক্ষা করতে কী কী করতে হবে তা স্বাস্থ্য অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ গরমের সঙ্গে যুঝতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ 

করোনা অতিমারীর জন্য পড়ুয়াদের জীবনে থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বহু মূল্যবান দুটি বছর৷ অনলাইনে পঠনপাঠন চলেছে ঠিকই তবে তা সর্বস্তরে পৌঁছয়নি৷ এই অবস্থায় গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে না এনে অন্য উপায়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার পথ খুঁজতেই এই সিদ্ধান্ত৷ তবে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার দিকেই পাল্লা ভারী বলে জানাচ্ছে শিক্ষা মহল৷ বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাই মনে করছে তীব্র দহনের মধ্যে নিয়মিত ক্লাস করতে ছাত্রছাত্রীদের পরিত্রাহি অবস্থা। সর্বোপরী এই তীব্র গরমে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে৷ শরীরে জল কমে ডিহাইড্রেশন হচ্ছে৷ এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার বলেন, ‘‘এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে গোটা পরিস্থিতি জানানো হবে।’’