কলকাতা: স্কুল ভিত্তিক রয়েছে তৃতীয় ভাষা। এবার এই তৃতীয় ভাষা ঘিরেই উঠে এসেছে নতুন মোড়। কোন স্কুলে তৃতীয় ভাষা হিসেবে কোন ভাষা পড়ানো হয়, সেটার একটি রিপোর্ট চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের পক্ষ থেকে তৃতীয় ভাষা সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে সব স্কুল ,যার উত্তর ই- মেল মারফত ২৫ এপ্রিল বিকেল 4টের মধ্যে জানাতে হবে। কোন ভাষা তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো হয়, এর পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছে যে শিক্ষক বা শিক্ষিকা সেটি পড়াচ্ছেন তার নাম, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং এই পদটি স্কুলে অনুমোদন প্রাপ্ত কিনা।
উল্লেখ্য, তিন বছর হতে চলেছে তবুও বিনামূল্যে পাঠ্য বই মিলছে না তৃতীয় ভাষার । পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি বই যদিও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কেবল এই তৃতীয় ভাষার বই কিনতে হতো। এই নিয়ে বিস্তর অভিযোগও ওঠে। তৃতীয় ভাষা নিয়ে সঠিক কোন সিলেবাসও নেই। আবার তৃতীয় ভাষা হিসেবে বর্তমানে সংস্কৃত, হিন্দি, উর্দু ভাষায় ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় কোনও নম্বর দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগও ওঠে। যে-সব স্কুল নিজেদের উদ্যোগে তৃতীয় ভাষার পঠনপাঠন চালিয়ে মূল্যায়ন করছে, তারা সেই নম্বর বাংলা শিক্ষা পোর্টালে দিত পারছে না। তৃতীয় ভাষা শিক্ষার বিষয়টিকে সব দিক থেকেই উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে একসময় অভিযোগ জোরালো হয় শিক্ষা শিবিরের একাংশে । এর বিরুদ্ধে সরব হয় অভিভাবকেরাও । তৃতীয় ভাষা সংক্রান্ত এমন পর্ষদের নির্দেশে ভালো কিছুর আশা করছেন স্কুলগুলি।