কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷ কিন্তু কী ভাবে হবে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন? শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ৷
আরও পড়ুন- জুলাইয়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক প্রসঙ্গে মমতা
২০১৯ সালে নবম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়ে যে সকল পড়ুয়া দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল, তারাই ২০২১-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী৷ নবম শ্রেণির পরীক্ষায় তারা শেষ অবতীর্ণ হয়েছিল৷ সেই মার্কশিট স্কুলগুলির কাছে রয়েছে৷ এছাড়াও ২০২০ সালে দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বরও স্কুলগুলি পর্ষদের কাছে জমা দিয়েছে৷ নবম শ্রেণির মার্কশিট ও দশম শ্রেণির ইন্টারনাল ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্টের নম্বরও ভিত্তিতেই এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট তৈরি করা হবে৷ ৫০-৫০ শতাংশ হারে দুটি নম্বর ভাগ করা হবে৷ তবে এই মার্কশিটে কোনও পরীক্ষার্থী সন্তুষ্ট না হলে তারা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে৷ রাজ্যে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিত তৈরি হওয়ার পরেই সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ সেক্ষেত্রে ওই পরীক্ষার ফলই চরম বলে গৃহীত হবে৷
২০২১ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জনমত ও বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস৷ ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যতের উপর জোড় দিয়েই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান, ২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার চারটি বিষয়ের সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ, ২০২০ সালের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক থিওরি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর (৬০ শতাংশ ওয়েটেজ) এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্রোজেক্ট বা প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর যুক্ত করে মার্কশিট তৈরি করা হবে৷ ২৩ জুনের মধ্যে প্রতিটি স্কুলকে তাদের ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বর সংসদে জমা দিতে হবে৷
কী ভাবে এই নম্বর দেওয়া হবে? ধরা যাক, কোনও ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিকে ৪টি বিষয়ে ৪০০-নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ২০০৷ একাদশ শ্রেণিতে ফিজিক্সে ৭০-এর মধ্যে পেয়েছে ৫০৷ দ্বাদশ শ্রেণিতে ল্যাব ভিত্তিক পরীক্ষা, ৩০ এর মধ্যে পয়েছে ২৮৷ তাহলে উচ্চমাধ্যমিকে ফিজেক্সে তার প্রাপ্ত নম্বর হবে ৭২৷ কলা বিভাগের ক্ষেত্রে এই থিওরির নম্বর ৮০ এবং প্রজেক্ট নম্বর ২০ হবে৷ বাকি মূল্যায়ন পদ্ধতি একই থাকবে৷ সংসদের সভাপতি আরও জানান, কোনও পরীক্ষার্থী এই নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে সে পরবর্তী ক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসতে পারবে৷ তবে অবশ্যই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর৷