স্কুলের নম্বর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ওয়েবসাইট চালু করল পর্ষদ

স্কুলের নম্বর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ওয়েবসাইট চালু করল পর্ষদ

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷ কী ভাবে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করা হবে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে যে বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে৷ স্কুলগুলিকে দ্রুত নম্বর জমা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে৷ নম্বর জমা দেওয়ার সেই সময়সীমা আরও বাড়াল বোর্ড৷   

আরও পড়ুন- মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে মূল্যায়নের ঘোষিত পদ্ধতি প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্ন এবং বাস্তবতা

মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, নবম শ্রেণির মার্কশিট ও দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট তৈরি করা হবে৷ ৫০-৫০ শতাংশ হারে দুটি নম্বর ভাগ করা হবে৷ তবে এই মার্কশিটে কোনও পরীক্ষার্থী সন্তুষ্ট না হলে তারা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে৷ রাজ্যে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিত তৈরি হওয়ার পরেই সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলগুলির কাছ থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর দ্রুত সংগ্রহ করতে পর্ষদ একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। নয়া ওয়েবসাইটটি হল http://www.wbbsedata.com৷ এই ওয়েবসাইটে আগামী সোমবার বেলা ১১টা থেকে পড়ুয়াদের নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিত প্রাপ্ত নম্বর পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে খুব সতর্কভাবে এই নম্বর পাঠাতে হবে বলে পর্ষদের তরফে সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ফি দিতে না পারলেও নাম কাটা যাবে না পড়ুয়াদের, স্কুলগুলিকে নির্দেশ হাইকোর্টের

অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে গত বছর একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন বিষয়ে যে নম্বর পেয়েছিল সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে আগামী বুধবারের মধ্যে পাঠাতে হবে৷ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে স্কুলগুলোর কাছে এই মর্মে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে৷ উল্লেখ্য গতকাল যৌথভাবে আগামী সোমবারের মধ্যে স্কুলগুলিকে নম্বর জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ৪টি বিষয়ের সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বরের ৪০ শতাংশ, ২০২০ সালের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক থিওরি পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্রোজেক্ট বা প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর যুক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে৷ বিজ্ঞান শাখায় প্র্যাক্টিক্যালের ৩০ নম্বর ও প্রজোক্টে রয়েছে ২০ নম্বর৷    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − two =