ফি দিতে না পারলেও নাম কাটা যাবে না পড়ুয়াদের, স্কুলগুলিকে নির্দেশ হাইকোর্টের

ফি দিতে না পারলেও নাম কাটা যাবে না পড়ুয়াদের, স্কুলগুলিকে নির্দেশ হাইকোর্টের

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য প্রায় বছর খানেক হয়ে গেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আগামী কত মাস বন্ধ থাকবে তা এখনও হলফ করে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে ফি সংক্রান্ত ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিবাবকদের একাংশের বক্তব্য যে বেশিরভাগ স্কুল এই সময়ের মধ্যেও বর্ধিত হারে ফি চাইছে পড়ুয়াদের থেকে। সেই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিল, বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও কোন পড়ুয়ার নাম স্কুল থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ প্রযোজ্য থাকবে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ বকেয়া ফি মেটানোর জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে যেখানে স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না সেখানে বর্ধিত ফি নিচ্ছে স্কুল। এই ইস্যুর বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে এমন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে, ৩১ জুলাই পর্যন্ত কোন স্কুল ফি না পাওয়ার কারণে পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বের করে দিতে পারবে না। অর্থাৎ বকেয়া ফি মেটানোর জন্য প্রায় মাস দেড়েকের সময় দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।

যদিও অভিযোগ উঠছে যে এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও চলতি বছরে অনেক স্কুল বর্ধিত হারে ফি চাইছে ছাত্রছাত্রীদের কাছে। সেই প্রেক্ষিতেই পুনরায় একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ জুলাই। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও রকম ল্যাবরেটরি, ক্রীড়া সংক্রান্ত, পিকনিক সংক্রান্ত ফি নেওয়া যাবে না। স্কুলগুলো মোট পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ রাখতে পারবে না অতিমারী পরিস্থিতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × three =