কলকাতা: ছেলে ভালো ফল করবেন আশা ছিল তাঁর৷ ফলপ্রকাশ হতেই আবেগে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে এল বাবার৷ মাধ্যমিকে যুগ্ম প্রথম বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অর্ণব ঘড়াই৷ ছেলের সাফল্যে আনন্দে-আবেগে চোখে জল স্কুল শিক্ষক বাবার৷ তিনি জানান, ছোট থেকেই পড়াশোনা করতে ভালোবাসত অর্ণব৷ তবে সময় বেঁধে কোনও দিন পড়াশোনা করেনি সে৷ যখন মন চাইত, তখনই পড়ত৷ বড় হয়ে ছেলে ভালো ডাক্তার হতে চায়৷ সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপ পেরল বলেই মনে করছেন প্রথমিক স্কুল শিক্ষক বাবা৷
আরও পড়ুন- ডাক্তার হয়ে জনসেবা করাই স্বপ্ন মাধ্যমিকে যুগ্ম প্রথম রৌনকের
মাধ্যমিকে ৬৯৩ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার অর্ণব ঘড়াই এবং পূর্ব বর্ধমানের রৌনক মণ্ডল। অর্ণব সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে বরাবরই দূরে। ছোটবেলা তাঁর ধ্যানজ্ঞান শুধুই পড়াশোনা। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে শুধু ছিল হোয়াটসঅ্যাপ৷ অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া নয়৷ তবে খুব বেশি সময় ধরে পড়াশোনা করতেন না তিনি৷ তবে, যতটুকু সময় পড়তেন, সেটা মন দিয়ে৷ মোট চারটি বিষয়ে গৃহশিক্ষক ছিল তাঁর- অংক, বিজ্ঞান বিভাগ এবং ইংরেজি৷ তাঁর এই সাফল্যে খুশির হাওয়া রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনেও৷ তাঁর শিক্ষকের কথায়, “আমরা জানতাম ও প্রথম তিন জনের মধ্যে থাকবে। প্রথম হওয়ায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত।” আগাগোড়াই ক্লাসে প্রথম হত অর্ণব। মাধ্যমিকেও প্রথম তিনি৷
অন্যদিকে, অর্ণবের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের রৌনক মণ্ডল। তাঁরও স্বপ্ন বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়া। তাঁর বাবার কথায়, বাঁধাধরা ছকে কখনই পড়াশোনা করত না রৌনক। কখনও রাত ১২টা পর্যন্ত পড়ত, কখনও আবার রাত ৯টার মধ্যেই পড়া শেষ হয়ে যেত৷ তবে ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী রৌনক। ক্লাসে প্রথম অথবা দ্বিতীয় হত সে। তার এই সাফল্যে বর্ধমান জুড়ে খুশির হাওয়া৷ খুশির হাওয়া মণ্ডল পরিবারেও৷ রৌনক বড় হয়ে একজন ভালো চিকিৎসক গবেন, সেই স্বপ্নই দেখছে মণ্ডল পরিবার৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>