কলকাতা: নিয়োগ নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক এবং অস্বস্তি ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। এবার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে তাদের। সোমবার ডিএলএড কোর্সের ফাইলার পরীক্ষার প্রথম দিন ছিল। তবে অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তবে এই বিষয় নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ, ‘দুয়ারে রেশন’ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের
এদিন অভিযোগ তোলা হয়, পরীক্ষা শুরুর আগেই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ মানতে কার্যত নারাজ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, প্রশ্নফাঁস নয়, সরকার ও পর্ষদের ভাবমূর্তি নষ্টের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। তাঁর কথায়, এখনও পর্যন্ত তারা কোনও অভিযোগ পাননি যে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে ১৬০ টা পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। ১০.৪৫ নাগাদ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এবং তারপর তা দেখে সবাই পরীক্ষা দিয়েছে এই যুক্তি মানা সম্ভব নয়। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আরও বলেন, কোনও পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। আগামীদিনে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড তবে তা ছাত্র স্বার্থেই নেবে। তবে প্রায় ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী প্রশ্ন জেনে পরীক্ষা দিয়েছে তা মেনে নেওয়া কঠিন বলেই মন্তব্য তাঁর। আরও একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি বলেছেন, এই পরীক্ষা পদ্ধতি যাঁরা যুক্ত তাদের সততা, নিষ্ঠার উপর নির্ভর করে। যদি কেউ তার মধ্যে থেকে কিছু অনৈতিক করেন তাহলে সরকার এবং বোর্ডকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা। উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ডিএলএড কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। পরীক্ষা চলে দুপুর ২টো পর্যন্ত। অভিযোগ, সোমবার সকাল ১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে।