কলকাতা: শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গিয়েছে প্রথম দশে রয়েছেন ২৭২ জন, প্রথম পাঁচে আছে ২৫ জন। অভাবনীয় লাগলেও এটাই সত্যি। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কারণ মাত্র তিন স্কুল থেকেই ৪০ জন মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়েছে যে কী ভাবে গোটা রাজ্যের মাত্র ৩ স্কুল থেকে এতজন মেধা তালিকায় জায়গা পেল। এখন এই নিয়েই চর্চা শুরু।
আরও পড়ুন- আগামী দিনে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতে চান উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম অদিশা
আজ ফল প্রকাশ পেতে দেখা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী বিদ্যায়তন থেকেই প্রথম দশে রয়েছেন ২২ জন। আবার দিনহাটার শনিদেবী জৈন হাই স্কুলের ১০ জন রয়েছেন মেধা তালিকায়। এর পাশাপাশি সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার আদর্শ বিদ্যামন্দিরের মোট ৮ জন জায়গা পেয়েছে মেধা তালিকায় প্রথম দশে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী বিদ্যায়তন থেকেই দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন সায়নদীপ সামন্ত। এছাড়াও তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম স্থান পেয়েছে এই স্কুল। দিনহাটার শনিদেবী জৈন হাই স্কুলের ছাত্রী অদিশা দেবশর্মা রাজ্যে প্রথম হয়েছেন। এছাড়াও চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম স্থান পেয়েছে এই স্কুল।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে কোনও প্রশ্নই তুলতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য, যারা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে তারা যোগ্য হিসেবেই পেয়েছে। উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন অদিশা দেবশর্মার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮৷ অর্থাৎ ৯৯.০৬ শতাংশ৷ দ্বিতীয় সায়নদ্বীপ সামন্তর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭৷ অর্থাৎ ৯৯.০৪ শতাংশ। এদিকে তৃতীয় হয়েছেন চার জন। চতুর্থ হয়েছে ৮ জন৷ পঞ্চম স্থানে রয়েছে ১১ জন৷