কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল। ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। এই অবস্থায় প্রাথমিকের পড়াশোনা এক প্রকার লাটে উঠেছে। কীভাবে পড়ুয়াদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া হবে, কী ভাবে তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সে বিষয়ে কার্যত কোনও দিশা দেখাতে পারছে না প্রাথমিক স্কুলগুলি। সেই পরিস্থিতিতের মধ্যেই আচমকাই কলকাতা সহ রাজ্যের ২১টি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। কেন একসঙ্গে ২১ জন চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হল তা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসের প্রিলিমের অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ
এই অপসারণের পিছনে চেয়ারম্যানদের ব্যর্থতাকেই দায়ি করেছে শিক্ষকদের একাংশ৷ মনে করা হচ্ছে অপসারিত চেয়ারম্যানদের কাজে একেবারেই সন্তুষ্ট ছিল না শিক্ষা দফতর। তার জেরেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া ও হুগলির চেয়ারম্যানকে তাঁদের পদ থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন তাঁদের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হল সরকার?
আরও পড়ুন- ইঞ্জিনিয়ারিং-এ রামায়াণ-মহাভারত, MBBS-এ দীনদয়াল উপাধ্যায়! সিলেবাস বিতর্কে রাজ্য
জানা গিয়েছে, নিয়োগ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে এই চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল৷ সেকারণেই হয়তো এই অপসারণ৷ পাশাপাশি অভিযোগ রয়েছে, রাজ্যের সঙ্গে সমণ্বয় না রেখেই তাঁরা নিজের মতো করে কাজ চালাচ্ছিলেন৷ বদলি নিয়েও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল। একাধিক প্রাথমিক স্কুলে তালা ঝুলিয়ে সেখানকার শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে ফের কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বদল৷ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিজ্ঞপ্তি বদল করল সরকার৷ নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছে রত্না সুর৷ গতকালই বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার৷ আজ সকালে পুরনো চেয়ারম্যান কার্তিক মান্নাকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি বদল নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷