কলকাতা: কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও কোনও ভাবেই থেমে থাকেনি অর্থনীতি। যদিও প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর স্বাস্থ্যক্ষেত্রের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের অর্থনীতিই৷ তবে সেই ধাক্কা সামলে শুরু হয়েছে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর পর্ব৷ বছরের শুরুতেই লগ্নিক্ষেত্রে আসতে চলেছে একাধিক চমক৷ আসছে বড় বড় সংস্থার আইপিও৷ আপাতত একটি সংস্থার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অধিকাংশ লগ্নিকারী৷ আর সেটি হল দেশের সর্ববৃহৎ বিমা সংস্থা লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এলআইসি৷
আরও পড়ুন- ডুবন্ত ভোডাফোন আইডিয়ার হাত ধরল কেন্দ্র, সংস্থার বড় অংশের শেয়ার কিনবে সরকার
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এলআইসি আইপিও-র বাজার মূল্য হতে পারে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা। যা বহু বিনিয়োগকারীর ভাগ্য বদলে দিতে পারে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত বড় অঙ্কের আইপিও এর আগে বাজারে খুব কম এসেছে৷ ইতিমধ্যেই এলআইসির আইপিওর খসড়া প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সেবির অনুমোদন পেতে প্রস্তাবিত খসড়া জমা দেওয়া হবে৷ সেবি সবুজ সংকেত দিতেই বাজারে চলে আসবে এলআইসির ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এলআইসি আইপিওর আওতাভুক্ত শেয়ারের প্রায় ১০ শতাংশ সংস্থার পলিসি হোল্ডারদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে৷ শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুটা বাড়তি ছাড় পাবেন। অন্য লগ্নিকারীদের তুলনায় পলিসি হোল্ডাররা কিছুটা সস্তাতে এই শেয়ার কিনতে পারবেন৷ বিমা গ্রাহকদের শেয়ারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
গত কয়েক বছরে সাধারণ মানুষের মধ্যে শেয়ার বাজারে লগ্নির প্রবণতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সংস্থার ওয়েবসাইটে আইপিও সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছিল৷ ই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এলআইসি’র পলিসি হোল্ডারদের জন্য আলাদা ভাবে আইপিও রাখা হবে। চাইলে পলিসি হোল্ডাররা ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে সরাসরি এই শেয়ার কিনতে পারেন। তবে শেয়ার কিনতে হলে লগ্নিকারীর আধার নম্বরের সঙ্গে এলআইসি-র লিঙ্ক থাকতে হবে। প্যান কার্ডও আপডেট থাকতে হবে। শেয়ারের দাম মধ্যবিত্তের নাগালেই রাখা হবে৷