নয়াদিল্লি: গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (জিএসটি) ক্ষতিপূরণের জন্য রাজ্যগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যেই এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানালেন, চলতি বছরে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ আদায় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা৷ আজ রাতের মধ্যেই এই টাকা সমস্ত রাজ্যগুলিকে ভাগ করে দেওয়া হবে৷
আরও পড়ুন- EMI স্থগিত রাখলে দিতে হবে না অতিরিক্ত সুদ, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
এদিন জিএসটি কাউন্সিলের ৪২ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জিএসটি কাউন্সিল ২০২০ সালের পরেও ক্ষতিপূরণ শুল্ক চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও জানান, জিএসটি কাউন্সিল ১২ অক্টোবর রাজ্যগুলির জিএসটি করের উপার্জন হ্রাস ও রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনার জন্য বৈঠক করবে। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ক্ষতিপূরণের ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে একমত নয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সহ মোট ২১টি রাজ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণের ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, ছত্তিশগড় ও কেরলের মতো বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলি এখনও কেন্দ্রীয় সরকার যে ঋণ নেওয়ার বিকল্প দিয়েছে তা মানতে নারাজ৷
আরও পড়ুন- ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের নতুন নিয়ম চালু করল RBI
চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিতে জিএসটি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা হ্রাস হতে পারে। এখনও পর্যন্ত জিএসটি থেকে আয়ের ঘাটতি পূরণের জন্য ২১টি রাজ্য ৯৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর আগে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বদলে ঋণ নেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় হিসেব অনুসারে, চলতি আর্থিক বছরের জন্য রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণ দরকার ৩ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৬৫,০০০ কোটি টাকা মিলবে জিএসটির অন্তর্গত সেস থেকে। যার ফলে এক্ষেত্রে মোট ঘাটতি হতে পারে ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পান্ডে জানিয়েছিলেন, এর মধ্যে ৯৭,০০০ কোটি টাকা জিএসটির জন্য ঘাটতি হবে আর বাকিটা করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক অবস্থানের জন্য।