নয়াদিল্লি: ২০২০ বছরটা কারও কাছেই খুব সুখকর নয়৷ কোভিডের কালো ছায়া গ্রাস করে রেখেছে গোটা বিশ্বকে৷ তবে নববর্ষের সূচনায় মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর আনল নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ-এ ধার্য ৮.৫ শতাংশ সুদই উপভোক্তাদের দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর ফলে উপকৃত হবে ইপিএফ-এর ৬ কোটি সদস্য৷ খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক৷
আরও পড়ুন- নববর্ষ ধামাকা, এবার যে কোনও নেটওয়ার্কে ফের ফ্রি কল জিও-র
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) থেকে প্রাপ্ত রিটার্ন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। এই রিটার্ন ছিল প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা। সেই কারণেই ২০২০ অর্থবর্ষে সরকার ইপিএফ-এর ৮.৫% ইপিএফ সুদের হার বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ারের নেতৃত্বে ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষের জন্য ৮.৫ শতাংশ সুদ দিতে সম্মত হয়েছিল। তবে ইপিএফও জানিয়েছিল যে তারা এই সুদটি দুই ভাগে দেওয়া হবে। প্রথমে ৮.৫ শতাংশ এবং পরে পিএফ অ্যাকাউন্টে ০.৩৫ শতাংশ সুদ পৌঁছে দেওয়া হবে৷
করোনাকালে ইপিএফ ফান্ডে সুদ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল৷ রাজকোষে টান পড়ায় এই ইস্যুতে নিজেদের অনুমোদন স্থগিত রেখেছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক৷ আর্থিক মন্দার জেরে ৬ কোটি ইপিএফও সদস্য ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ পাবে না বলেই ইঙ্গিত মিলেছিল৷ কিন্তু পরে ইপিএফও-র অছি পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক হয় যে সুদের হার ৮.৫ শতাংশই রাখা হবে।
আরও পড়ুন- সুখবর! আরও বাড়ল আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা
ইপিএফও-র সদস্যরা ইউএএন পোর্টালে মিসড কল দিয়ে তাদের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর থেকে ০১১-২২৯০১৪০৬ নম্বরে একটি মিস কল করতে হবে৷ মিস কল করলেই ইপিএফও-র বার্তার মাধ্যমে পিএফের বিবরণ প্রাপ্ত হবে। এই কলটি দুটি ঘন্টা পরে নিজে থেকেই কেটে যাবে৷ এই পরিষেবার জন্য কোনও টাকা লাগবে না৷