নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে ঋণ গ্রহীতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ঋণের কিস্তি স্থগিতের (মোরাটোরিয়াম) সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্র৷ সেই মেয়াদ ৩১ অগাস্ট শেষ হয়ে গিয়েছে৷ এর পর চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায়, ঋণগ্রহীতাদের মোরাটোরিয়ামের জন্য বকেয়া সুদের উপর আর সুদ দিতে হবে না। ছোট ব্যবসা, গৃহঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, ক্রেডিট কার্ড-সহ মোট আটটি ক্ষেত্রের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে সুদের উপরে সুদে ছাড় দিতে তারা তৈরি। সরকার ওই বাড়তি সুদ বাবদ খরচ বহন করবে। ব্যাঙ্কের উপর চাপাবে না। শনিবার কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়৷ এর চেয়ে বেশি সুদের বোঝা বহন করা সম্ভব নয়৷
আরও পড়ুন- সুখবর! বছর শেষেই পুরোদমে চালু হবে RTGS পেমেন্ট সিস্টেম! কী সুবিধা, জানুন বিস্তারিত
এদিন আরবিআই জানায়, গত ৬ মাস ঋণের কিস্তি স্থগিতের যে সুযোগ ঋণ গ্রহীতাদের দেওয়া হয়েছিল তা আর বাড়ানো সম্ভব নয়। এর পরেও কিস্তি স্থগিত করা হলে ভবিষ্যতে ঋণদানের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে। পাশাপাশি তা অর্থনীতির ওপরের প্রভাব ফেলবে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এর আগে ৬ মাসের জন্য ঋণের কিস্তি স্থগিতের সুযোগ দেয় কেন্দ্র৷ এমনকী গত ২ অক্টোবর কেন্দ্র জানায় ঋণ গ্রহীতাদের সুদের উপর সুদ দিতে হবে না৷ তবে এর পর আর এই সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানাল আরবিআই। প্রসঙ্গত, লোন মোরাটোরিয়াম মামলায় ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে সুদ মাফের যে প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র তা যথেষ্ট নয় বলে জানায় শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন- RBI Monetary Policy: অপরিবর্তিত রইল রেপো রেট
করোনা সংক্রমণ রুখতে গত মার্চ মাসে জেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। লকডাউন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ৷ থমকে গিয়েছিল অর্থনীতি৷ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া কোনও কিছুই সচল ছিল না৷ এই পরিস্থিতিতে বিপুল আর্থিক চাপের মধ্যে পড়েন সাধারণ মানুষ। একাধিক ঋণ গ্রহীতাকে সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হবে ভেবেই ঋণের কিস্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র৷