নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারী কেড়েছে বহু মানুষের প্রাণ। সেই সঙ্গে জুড়েছে বেকারত্বের যন্ত্রণা৷ ভেঙে পড়েছিল গোটা বিশ্বের অর্থনীতি৷ কিন্তু এই অতিমারি পর্বে আরও ধনী হয়েছেন ধনকুবেররা৷ গোটা বিশ্বের পাশপাশি ধনীদের সংখ্যা বেড়েছে এশিয়াতেও৷ গত সেপ্টেম্বর মাসেই এশিয়ার প্রথম শিল্পপতি হিসেবে বিশ্বে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি। একসময় বিশ্বের প্রথম ১০ ধনী ব্যক্তিদের প্রায় সকলেই ছিলেন মার্কিন নাগরিক। এথনও সিংহভাগ আমেরিকান রয়েছে প্রথম ১০ এর তালিকায়৷ তবে, বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, এশিয়ার শিল্পপতিদের সম্পত্তি ক্রমশ বিকাশমান৷
আরও পড়ুন- ‘নারীরা কোনও দিক দিয়েই পুরুষের চেয়ে কম নয়’, নারীদের ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল ভগবতের
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সে তিন নম্বরে গৌতম আদানির স্থান পাকা হতেই জানা যায়, শুধু ভারত নয়, এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি হলেন গৌতম আদানি৷ পরবর্তীতে ফোর্বসের তালিকাতেও জানা যায় বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্তা। তবে বেশ কিছু দিন দ্বিতীয় স্থানেও বিরাজমান ছিলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান৷
ধনী ব্যক্তির তালিকায় বরাবরই দাপট দেখিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপ৷ সেখানে এশিয়া ছিল অনেরটাই পিছনে৷ সেই চেনা ধারায় ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে৷ দাপট থাকলেও, প্রথম দশে শুধু তাঁদেরই আধিপত্য নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের প্রথম ২৪০০ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ ট্রিলিয়ন ডলার৷ এরমধ্যে উত্তর আমেরিকায় রয়েছে ৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, এশিয়ায় রয়েছে ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ইউরোপে ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। গোটা বিশ্বে শুধুমাত্র বিলিনিয়রের সংখ্যা ধরা হলে উত্তর আমেরিকায় রয়েছেন ৭৭৭ জন, এশিয়াতে ৯৫১ জন এবং ইউরোপে সংখ্যাটা ৫৩৬৷
গৌতম আদানি ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হলেও, অনেকেই তাঁর সম্পদের পরিমাণ নিয়ে সমালোচনা করেন। কারণ, দেশের প্রায় সবকটি ব্যাঙ্কেই আদানি গোষ্ঠীর প্রচুর ঋণ রয়েছে। যদিও সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, ধীরে ধীরে এই ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এদিকে, আদানির পরেই ভারতে ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছে মুকেশ আম্বানি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>