অ্যামওয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, বাজেয়াপ্ত ৭৫৮ কোটি টাকা

অ্যামওয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, বাজেয়াপ্ত ৭৫৮ কোটি টাকা

নয়াদিল্লি: বিপাকে অ্যামওয়ে ইন্ডিয়া। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সোমবার ইডি অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার ৭৫৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে জমি, কারখানা, মেসিন, গাড়ি, ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট ও ফিক্সড ডিপোজিট। এই তালিকায় তামিলনাড়ু দিন্দিগুল জেলায় সংস্থার অফিস, কারখানা ও বেশ কিছুটা জমি রয়েছে।

আরও পড়ুন- ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের সাংকেতিক আমন্ত্রণ নাসার, আতঙ্কে বিজ্ঞানীদের একাংশ

ইডির তরফে জানানো হয়েছে, পিরামিড মডেলে মাল্টি লেভেল মানি মার্কেটিং নেটওয়ার্ক তৈরি করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা হয়েছে। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে ৪১১.৮৩ কোটি টাকা ও ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ৩৪৫.৯৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ৩৪৫.৯৪ কোটি টাকা ৩৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২০০২-০৩ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত সংস্থাটি প্রায় ২৭ হাজার ৫২৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ভারতে। সেখান থেকে ড্রিস্টিবিউটার ও সংস্থার সদস্যদের কমিশন হিসেবে ৭ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

ইডি অভিযোগ করেছে, খোলা বাজারের থেকে অনেকটা বেশি দামে অ্যামওয়ে তাদের পণ্য বিক্রি করত। পাশাপাশি কাঁচা মাল অনেক কম দামে কিনত বাজার থেকে। সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে সংস্থার সদস্য হিসেবে যোগ দিতে  বলা হতো। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্থার জিনিস কেনার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করা হতো। অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থার সদস্যরা এই জিনিস কিনতেন না। সেই জিনিসের প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করতেন সংস্থার সদস্যরা বলে অভিযোগ।ইডির তরফে অভিযোগে বলা হয়েছে, সংস্থাটি আদৌ পণ্য বিক্রির ওপর বিশেষ নজর দিতেন না। বড়লোক হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সংস্থাটি সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দিতেন। পণ্যের আড়ালে পিরামিড মডেলে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোই ছিল সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *