বাংলা জিতব, তারপর দিল্লিছাড়া করে ছাড়ব! বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতার

বাংলা জিতব, তারপর দিল্লিছাড়া করে ছাড়ব! বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতার

94de2256a8899378dcaac6027b26feff

কলাইকুণ্ডা: গত সোমবার থেকে ম্যারাথন প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক জেলায় জনসভা করছেন তিনি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করছেন। এদিন গেরুয়া বাহিনীকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বললেন, আগে বাংলায় জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস তারপরে দিল্লিতে ঝাঁপাবে। বিজেপিকে দিল্লি ছাড়া করে ছাড়বে তারা! একই সঙ্গে বাংলায় বিজেপি ভোট লুট করতে পারে বলে সকলকে সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন জনসভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ভোটের দিন যে কোনো কারণে ভোটারদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতে চাইবে বিজেপি কিন্তু কেউ যেন না যান। ভোটের পরে একমাস মেশিন পাহারা দিতে হবে এবং ভোট বাক্স পাহারা দেওয়ার সময় কারুর হাত থেকে কিছু খেলে চলবে না। বিজেপি বাইরের গুন্ডারা এনে ভোট লুট করতে চাইবে কিন্তু বাংলার মানুষকে তাদের হাতা-খুন্তি নিয়ে তাড়া করতে হবে। এর পাশাপাশি বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান চুরি করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বলেন, বিজেপি নেতৃত্বে যে ‘পরিবর্তন’ স্লোগান তুলেছে তা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ধার করতে হয়েছে। একইসঙ্গে কিছুদিন আগে কফি হাউসে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তিনি মন্তব্য করেছেন, কিছু বহিরাগত গুন্ডারা কফি হাউস দখল করতে গিয়েছিল। ওরা জানে না কফি হাউজে কারা কারা যায়। এদিকে খড়্গপুরের অনেক মানুষ রেলে কর্মরত সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, বিজেপি সরকার রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তাই রেল কর্মীদের অনুরোধ, তারা যেন বিজেপিকে ভোট না দেয়। রেলের পাশাপাশি ব্যাংক গুলোকেও বেচে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সাধারণ মানুষের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। 

আরও পড়ুন-  পুরুলিয়ায় ‘জলসঙ্কট ভরা জীবন’ দিয়েছে তৃণমূল, ১০ বছরে একটা সেতুও হয়নি, তোপ নমোর

এর পাশাপাশি আগের জনসভায় মমতা যেমন আওয়াজ তুলেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে, এবারও সেই একই ভঙ্গিতে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তিনি। বললেন, যদি বিনা পয়সায় রেশন পেতে হয়, স্বাস্থ্যসাথী পেতে হয়, বিধবা ভাতা পেতে হয় তবে একটা ভোটও বিজেপিকে নয়। যদি ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট কার্ড পেতে হয়, মেয়েদের সম্মান পেতে হয়, ৫০০ টাকা প্রতিমাসে পেতে হয় তবে বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *