কলকাতা: সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চাকরি পাওয়ার জন্য যে হাত খোয়াতে হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা রেণু খাতুন। খোদ তাঁর স্বামী হাত কেটে নেবে সেটা স্বপ্নাতীত ছিল। এখন তিনি হাত কাটা অবস্থতেই হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু সেই কাটা হাত কি জোড়া লাগানো যাবে? এখন কি আর সেটা সম্ভব? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে খোদ চিকিৎসক মহলেই। কারণ সময় অনেকটা পেরিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- জামাই আদরে বরণ ছাত্রীদের, পালন করা হল ‘কন্যাশ্রী ষষ্ঠী’
শনিবার গভীর রাতে রেণু যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তাঁর স্বামী মুখে বালিস চাপা দিয়ে তাঁর ডান হাতের কব্জি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন৷ এখন কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। তাই ওই কাটা হাত আর জোড়া লাগানো যাবে কিনা তা চিকিৎসকরা বুঝতে পারছেন না। আসলে হাত কেটে নেওয়ার পর বেশ কয়েক ঘন্টা সেই কাটা হাতের টুকরো লুকিয়ে রেখেছিল রেণুর স্বামী। তারপর পলাতক হয়ে যায়। এখন অবশ্য ওই কাটা হাত হাসপাতালে আছে। কিন্তু সেটা জোড়া লাগানো যাবে কিনা সেই নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাটা হাতটি কী ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে তার ওপর নির্ভর করছে ওই অংশটি জোড়া লাগানো যাবে কি না। ঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করা হলে তাতে পচন ধরে যাবে।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রথম থেকেই মেধাবী ছিলেন রেণু খাতুন৷ তাঁর স্বপ্ন ছিল সেবিকা হওয়ার৷ এ জন্য ট্রেনিংও নেন তিনি৷ দিন কয়েক আগেই তিনি জানতে পারেন নার্সের পরীক্ষায় তিনি সফল হয়েছেন৷ তালিকায় তাঁর নাম উঠেছে৷ এর পরেই তাঁর স্বামীর মনে একটি বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয় যে, স্ত্রী যদি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন, তাহলে তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন৷ এমনকী তাঁর বন্ধুরাও তাঁকে সেই কথাই বোঝায়৷ এর পরেই বন্ধুদের সঙ্গেই গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করে রেণুর স্বামী৷