কোচবিহার: একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে ফের বঙ্গ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ৷ কোচবিহার থেকে তৃতীয় পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন তিনি৷ তার আগে রাসমেলা ময়দানের জনসভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানেলেন শাহ৷
আরও পড়ুন- পুলিশের বজ্র আঁটুনি উড়িয়ে নবান্ন ঘেরাও! ‘সফল’ বাম ছাত্র-যুবদের অভিযান!
তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলছেন কেন পরিবর্তন যাত্রা হবে? এর জবাবে কোচ-রাজবংশী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলতে চাই, এই পরিবর্তন যাত্রা কোনও মুখ্যমন্ত্রী বদল করার জন্য নয়৷ বিধায়ক বা মন্ত্রী বদলের জন্যেও নয়৷ বাংলার অবস্থা বদলের জন্য এই পরিবর্তন যাত্রা৷ এই পরিবর্তন যাত্রা পিসি ভাইপোর দুর্নীতি অবসানের যাত্রা৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলার বেকারত্ব দূর করার জন্য এই পরিবর্তন যাত্রা৷ বোমাবাজি বন্ধ করে কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য এই পরিবর্তন যাত্রা৷ এই পরিবর্তন যাত্রা কৃষকদের দুর্দশা দূর করার জন্য, হিংসার বদলে বিকাশের রাজনীতি আনার জন্য৷ সোনার বাংলা বানানোর জন্যই এই পরিবর্তন যাত্রা৷’’
অনুপ্রবেশ রুখতে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ক্ষমতায় এলে মানুষ তো দূর পায়রাও ঢুকতে পারবে না৷’’ তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে রাজ্য চালাচ্ছেন, তাতে কেবল অবনতিই হয়েছে৷ তাই এবার ২০০–র বেশি আসনে জিতে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গড়তে হবে৷ নরেন্দ্র মোদীকে একবার সুযোগ দিন পাঁচ বছরের মধ্যে সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন৷’’
আরও পড়ুন- ক্ষমতায় এলে বাংলায় পাখিও অনুপ্রবেশ করতে পারবে না! কোচবিহারে হুঙ্কার শাহের
কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল জমানায় রাজবংশীদের সংস্কার, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ভাষার সম্মান করা হয়নি৷ বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করার পর এখানে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে রাজবংশী সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে৷ ট্যুরিস্ট সার্কিট গড়ে তোলা হবে৷ প্যারামিলিটারে ফোর্সে নারায়ণী ব্যাটালিয়ন স্থাপন করা হবে৷ যে মাটি মুঘলদের বিজয়যাত্রা রুখে দিয়েছিল ৷ যে নারায়ণী সেনা এক সময় এই ভূমিকে রক্ষা করার সাহস দেখিয়েছিল, তাকে সম্মান জানাতে আধাসেনায় নারায়ণী ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে।
সুর উঁচিয়ে বলেন, মমতা দিদি এমন করছেন যেন এই রাজ্যে জয় শ্রীরাম বলা অপরাধ। কিন্তু কেন? জয় শ্রীরাম এনে বলা হবে না বলে কি পাকিস্তানে বলা হবে? আপনি জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে বিরক্ত হন৷ কিন্তু কোটি কোটি মানুষ গৌরব অনুভব করে৷ আপনি এমন করছেন, কারণ একটা বিশেষ সমাজের তোষণ করে তাঁদের ভোট পেতে চান। অন্য সম্প্রদায় কি ভোটার নন? নির্বাচন শেষ হলে মমতা দিদিও জয় শ্রী রাম বলবেন৷