কলকাতা: অনেক আগে থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে যে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল মে-জুন মাসে ভোট হলে ভোটারদের গরমে কষ্ট হয়। তাই অনুমান করা হচ্ছিল আগামী বছর ভোট এগিয়ে আসবে। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন এমন নির্দেশিকা দিয়েছে যে ভোট এগিয়ে আসার বিষয়টি আরও যেন স্পষ্ট হল। রাজ্যের অধিকাংশ জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিক এবং জেলাশাসকদের সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন- রায়কে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে গেল ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ খসড়া তালিকা ১৯ অক্টোবর তারিখের মধ্যে জেলাগুলিকে প্রকাশ করতে হবে। যদি সেই তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তা ২ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে। আর সব সমস্যার সমাধান করতে হবে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে। এই নির্দেশিকার কারণে মনে করা হচ্ছে, বছরের শেষেই হয়তো পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে এবং ভোট হতে পারে ২০২৩ সালে শুরুর দিকেই। এর আগে সব জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসন সংরক্ষণের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। সেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
তাহলে এগিয়ে এসে কোন সময়ে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন? আসলে আগামী বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত বর্তমান পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ রয়েছে। তার মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে কমিশনকে। এবার মে-জুন মাসে গরমের প্রভাব বেশি থাকে। এপ্রিলেও যে কম তাপমাত্রা থাকে এমন নয়। তাই এই সময়ে ভোট করানো মুশকিল। এদিকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে। তখন মাইক বাজিয়ে, সভা করে ভোটের প্রচার করা চলবে না। তাই জানুয়ারী অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে হতে পারে ভোট, অনুমান এমনটাই। শীত থাকলে ভোটারদের তাগিদ আরও বেশি থাকবে বলে মত অনেকের।