জলপাইগুড়ি: উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে যে উন্নয়ন হয়েছে, এর আগে কোনও দিনও তা হয়নি৷ সেই সঙ্গে আফশোসের সুরে তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, এত কাজ করার পরও বলা হয়, উত্তরবঙ্গ নাকি বঞ্চিত৷ যাঁরা এই কথা বলেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হল উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন হতে না দেওয়া৷ তাঁদের উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করা৷
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের কৃষি বিল: মমতা কী ২৫৪ (২) ধারার কথা ভাববে?
কী কী হয়েছে উত্তরবঙ্গে? এদিন বৈঠছ থেকে দিলেন সেই খতিয়ান৷ তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪০-৫০ বছরের দাবি মিটিয়ে উত্তরবঙ্গে ‘উত্তরকন্যা’ করেছে তৃণমূল সরকার৷ ভোরের আলো, আফ্রিকান সাফারি, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্বং জেলা গঠন থেকে শুরু করে পুলিশ লাইন, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট করা হয়েছে৷ প্রশ্নের সুরেই তিনি বলেন, কী করা হয়ন বলুন তো? কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে গিয়েছে তরাই-ডুয়ার্স৷ শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির রাস্তার চেহারাই বদলে গিয়েছে৷ উত্তর ও দক্ষিণ করিডরও করা হচ্ছে৷ ছোট রাস্তা সংস্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ হয়েছে৷
পাশাপাশি এদিন আরও একবার রেশন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে৷ বৃহন্নলা হোক বা নিষিদ্ধ পল্লী, কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক, সকলে যাতে রেশন পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে৷ বাড়ি বাড়ি আইসিডিএস-এর খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজও চালাতে হবে৷ কেউ যেন রেশন থেকে বঞ্চিত না হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রেশন দিচ্ছে৷ আর পার্টি অফিসে লেখা হচ্ছে রেশন দিচ্ছে ওরা৷ রেশন চুরিও হয়ে যাচ্ছে৷ সে দিকে নজর রাখতে হবে৷
আরও পড়ুন- গরু পাচার: ঘাসফুলে আতঙ্ক বাড়িয়ে CBI স্পেশাল সেল গড়বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ৩৮টি নতুন পুলিশ জেলা হয়েছে৷ ৬টা পুলিশ কমিশনারেট, ১৯টি হিউম্যান রাইটস কোর্ট, ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি হয়েছে৷ এর মধ্যে ৪৫টি মহিলাদের জন্য৷ উত্তরবঙ্গে গড়ে উঠেছে মাল্টিসুপার হাসপাতাল৷ পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সব কটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে৷ কিন্তু কিছু মানুষ বাইরে থেকে এসে বলছে সবুজ সাথী সাইকেল দিল্লি দিচ্ছে৷ কোনও দলের নাম না করেই ব্যঙ্গের সুরে মমতা বলেন, ‘‘সবটাই দিল্লি কা লাড্ডু৷ যো খায়া ও পস্তায়া, যো না খায়া ওভি পস্তায়া৷’’