কলকাতা: মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় হইচই পড়ে গিয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন যে, ইংরেজি পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিলেন। তার ছবিও টুইটারে পোস্ট করেছেন তিনি। বিজেপি নেতার দাবি, এক তৃণমূল নেতার তরফেই এই প্রশ্ন ‘ফাঁস’ করা হয়েছে। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এই ইস্যুকে ‘ফাঁস’ বলতে নারাজ।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকে অঙ্কে ভয়? পরীক্ষার খাতায় কী ভাবে উত্তর লিখতে হবে? পুরো নম্বর পাওয়ার কৌশলই বা কী?
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ”দুপুর ১.৪০ থেকে যে তিনটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে তা ১৬ পাতার ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ২, ৩ এবং ১০ নম্বর পাতার। এই বিষয়টি আদতে পরকল্পিত অন্তর্ঘাত, ফাঁস নয়। যদি ফাঁস হত তাহলে পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই ১৬ পাতার ছবিই ছড়িয়ে পড়ত।” এই বিষয়ের উৎস খুঁজে বার করার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন বলে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যদিও বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, আজ দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে এই প্রশ্নপত্র এসে যায় তাঁর কাছে। ফলে এটি যে প্রশ্নপত্র ফাঁস, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অর্পিতার পর এবার ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তী! After Arpita, now Haimanti’s name crops up” width=”853″>
সুকান্ত আরও দাবি করেন, মালদহে মূলত মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ঘুরে বেরিয়েছে আর তা ‘ফাঁস’ করেছেন জেলার তৃণমূল শিক্ষা সেলের এক নেতা। যদিও কোনও নাম উল্লেখ করেননি তিনি। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্য কথাই বলছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতা তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপির তরফে সস্তার রাজনীতি করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতা নিয়ে ছেলেখেলার কোনও মানে হয় না বলে মন্তব্য তাঁর। এক্ষেত্রে কুণালের ব্যাখ্যা, পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকে গেলে তারপর সেটা আর প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে না।