কলকাতা: রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দেশজুড়ে অনুদান সংগ্রহ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গোটা দেশ থেকে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। ইতিমধ্যেই নাকি ১৫০০ কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করে ফেলেছে তারা বলে জানানো হয়েছে। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তার থেকেও বেশি উচ্ছ্বসিত বাংলাকে নিয়ে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অনুমান সংগ্রহীত হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি! তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলা থেকে কমপক্ষে ৬০-৭০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের যা ইতিমধ্যেই প্রায় সম্পূর্ণ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- ‘‘চান্দা জীবী হওয়ার চেয়ে আন্দোলনজীবী হওয়া ভালো’, নমোকে বিঁধে ‘রাম’ খোঁচা মহুয়া মৈত্রর
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলা থেকে ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি টাকা অনুদান উঠে গিয়েছে যার মধ্যে লক্ষাধিক টাকা থেকে কোটি টাকার অনুদান রয়েছে। যদিও কারা কারা কত টাকা দিয়েছেন তা বলতে রাজি নয় তারা। পরিকল্পনামাফিক যে অর্থ সংগ্রহ করার কথা ছিল তার ৯০ শতাংশ ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই যেটুকু অর্থসংগ্রহ বাকি রয়েছে তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পূরণ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কারা অনুদান দিয়েছেন সেই ব্যাপারে কোন তথ্য না দেওয়া হলেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, গ্রাম এবং শহর মিলিয়ে ৫০ লক্ষ পরিবারের কাছে গিয়েছিলেন তারা। তাদের অনুদান মিলিয়ে এই অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন- সরস্বতী পুজোয় ‘টুম্পা সোনা’ গানে উদ্দাম নাচ পড়ুয়াদের, তুমুল বিতর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
ইতিমধ্যেই রাম মন্দিরের জন্য অনুদান দেওয়ার আর্জি জানিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার পর্যন্ত আহ্বান জানিয়েছেন দেশবাসীকে। বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকেই রাম মন্দিরের জন্য অনুদান দিয়েছেন। যদিও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কিছু দেখতে রাজি নয়। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলার বিধানসভা নির্বাচন এবং কোনো রকম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের কোনো রকম সম্পর্ক নেই। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক গোটা দেশজুড়ে তারা অনুদান সংগ্রহ করছেন, সেই প্রেক্ষিতেই বাংলার মাটি থেকে রাম মন্দিরের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা অনুদান দিচ্ছেন তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিচ্ছে এবং রাজনীতির কোনো সম্পর্ক রাখছেন না বলেই স্পষ্ট করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে।