কলকাতা: আজ শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো৷ কোজাগরী পূর্ণিমায় বাংলার ঘরে ঘরে পুজিত হন সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী মা লক্ষ্মী৷ কিন্তু করোনা আবহে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে আম জনতার৷ দীর্ঘ লকডাউনে এমনীতেই মানুষের আয় কমেছে৷ তার উপর চড়া বাজার দর দেখে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের৷ কী ভাবে হবে মাতৃ আরাধনা! হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গিয়েও কুলতে পারছে না মানুষ৷ পুজো করতে পকেট ফাঁকা বাঙালির৷
আরও পড়ুন- ‘আমি-আমি সর্বনাশের মূল!’ শুভেন্দুর মন্তব্যে ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কয়েকগুণ দাম বেশি হাঁকছেন প্রতিমা বিক্রেতারা৷ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে লক্ষ্ণী প্রতিমার দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা৷ লক্ষ্ণীর সরার দামও এবার বেড়ে গিয়েছে৷ ক্রেতারা দরাদরি করলেও, দাম কমাতে নারাজ বিক্রেতারা৷ পুজোর বাজারে লাভের মুখ দেখতে মধ্যবিত্তের পকেটে কোপ বসাচ্ছেন তাঁরাও৷
এদিকে সবজি আর ফলের বাজারেও আগুন৷ হাত দিলেই লাগছে ছ্যাঁকা৷ শুক্রবার সকালে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বাজারে আপেলের দর কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। শশা কেজি প্রতি ৭০ টাকা৷ নাশপাতির কেজি ১৫০ টাকা। মুসাম্বি লেবুর জোড়া ৩০ টাকা। মাঝারি মাপের কাঠালি কলা ৬০ টাকা ডজন। ২০-৩০ টাকার নারকেলের দাম উঠেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। অন্যদিকে, দুর্গা পুজোর আগে থেকেই সবজির বাজার ছিল আকাশ ছোঁয়া৷ এখনও তার নড়চড় হয়নি৷ একেবারে ছোট মাপের ফুলকপি ৪০ টাকা পিস। পটল, বেগুনের দর যাচ্ছে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বরবটি ৬০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন- রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের, তোপ মুখ্যমন্ত্রীকে
এই অগ্নিমূল্যের বাজারে তাই অধিকাংশ মানুষই পুজো সারছেন নমো নমো করে৷ এমকী বাজার থেকে গুড়, নারকেল কিনে বাড়িতে নাড়ু বানানোর বদলে তাঁরা ঝুকছেন মিষ্টির দোকানের রেডিমেড নাড়ুর দিকে৷ বাজার করতে আসা মানুষদের কথায়, একে মাসের শেষ৷ তার উপর চড়া বাজার দর৷ এই অবস্থায় কোনও মতে নিয়মরক্ষা করতে পারলেই হল৷ ধুমধাম করে পুজো করার মন থাকলেও, এই বছর অধিকাংশ মানুষের পকেটেই টান৷ ফলে সবটাই হচ্ছে নমো নমো করে৷