রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের, তোপ মুখ্যমন্ত্রীকে

রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের, তোপ মুখ্যমন্ত্রীকে

0489f3126a3348f62378083feb401628

 

কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে দু’দিনের ‘অফিসিয়াল ভিজিটে’ দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ ওই বৈঠকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেন তিনি৷ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল৷ অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে প্রসঙ্গে মুখ না খুললেও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার সরব হন ধনখড়৷ এদিন রাজ্যপাল বলেন, পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হানাহানি চলছে৷ এখানে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ অথচ সর্বোচ্চ প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে৷ এটা কোনও সুষ্ঠ গণতন্ত্র নয়৷ 

আরও পড়ুন- অপরাধ দমন থেকে সচেতনতা তৈরি, শক্ত হাতে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন পুরুলিয়ার প্রথম মহিলা ওসি

এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলার জন্য পুলিশের ডিজিকে তলব করা হয়েছিল৷ কিন্তু উনি আসেননি৷ প্রশাসনকে বারবার চিঠি লিখেও উত্তর মেলে না৷ রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও পরিস্থিতির বদল হয়নি৷ দিন দিন রাজ্যে হিংসা ও মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে চলেছে৷ অথচ পুলিশ-প্রশাসন নিষ্ক্রীয়৷ রাজ্যপাল বলেন, আমি সমালোচনায় বিশ্বাস করি না৷ আমি তথ্যে বিশ্বাসী৷ আলেচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে৷ 

রাজ্যপালের কথায়, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার ভেঙে পড়েছে৷ বাংলার মাটিতে আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠন তাদের শাখা বিস্তার করছে৷ বেআইনি বোমা তৈরি হচ্ছে৷ প্রতিটি কোথাও না কোথাও বোমাবাজি হচ্ছে৷ তাঁর প্রশ্ন, রাজনৈতিক আদেশ পালনের জন্যই কি পুলিশ রয়েছে? রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন৷ রাজ্যপাল বলেন, ‘‘কী ভাবে এখানে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন৷ সংবিধান, আইনের শাসনকে উপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আমলারা রাজনৈতিক দলের অনুগত হয়ে কাজ করছেন৷ পুলিশের মাধ্যমে শাসন চালাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী৷ দেশের সংবাদমাধ্যমের জানা উচিত পশ্চিমবঙ্গের আসল পরিস্থিতি কী৷’’ তিনি আরও বলেন, বাংলায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার চলছে৷ 

আরও পড়ুন- মুক্তিসূর্য থেকে পোস্টার বয়? বিরোধীদের চক্রান্ত নাকি দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে ছিঁড়ল শুভেন্দুর ছবি

রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে ধনখড় বলেন, মুর্শিদাবাদের ভিতর সুরঙ্গ তৈরি হয়ে গেল, অথচ রাজ্য তা জানতেই পারল না৷ তারা জানতেই পারল না ছ’জনকে গ্রেফতার করা হল৷ এর মধ্যে তিন জন আবার মুর্শিদাবাদেরই লোক৷ এমন কোনও সপ্তাহ যায় না যখন রাজ্যে বেআইনি বোমা কারখানার হদিশ মেলে না৷ বোমাবাজি হয় না৷ এখানে রাজনৈতিক কর্মীদের খুন করা হচ্ছে৷ চলছে রাজনৈতিক হিংসা৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *