কলকাতা: সিএএ আন্দোলনের একজন মুখ ছিলেন উমর খালিদ। বাংলাতেও এর একজন মুখ ছিল, আনিস খান। উমরকে দেশদ্রোহিতার মামলায় জেলে যেতে হয়েছে। আর এদিকে আনিসের রহস্য মৃত্যুতে দানা বাঁধছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জল আরও গড়াবে কারণ আনিসের বাড়িতে দেখা করতে আসেন উমর খালিদের পিতা। তিনি সরাসরি সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন এই ঘটনায়।
আরও পড়ুন- ‘রবীন্দ্রনাথের নাম থাকলে তাঁর নামেও ভোট পড়ত’, ছাপ্পা নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা সুকান্তের
এদিন সকালে আনিস খানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন উমর খালিদের পিতা সৈয়দ কাসিম রসুল ইলিয়াস। তিনি তখন স্পষ্ট বলেন, রাজ্যের ওপর ভরসা করা কখনই যাবে না। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তই চাইছেন তিনি। আনিস সম্পর্কে তিনি বলেন, এনআরসি-সিএএ নিয়ে দিল্লিতেও আন্দোলন হয়েছে। অনেক তরুণ ছাত্র নেতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, জেলেও গিয়েছেন। আনিসও তাদের মধ্যে একজন ছিল। তাই এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কোনও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা দিয়েই এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, এমনই মত উমরের পিতার। তবে রাজ্যের ওপর ভরসা করা যাবে না বলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেননি। তাঁর কথায়, পুলিশ যেখানে তদন্তের ক্ষেত্রে গাফিলতি করেছে, সেখানে রাজ্যকে ভরসা করা উচিৎ নয়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে আমতার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এএসআই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম, হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। এমনকি পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলেও দাবি করেছে আনিসের পরিবার। এক সাংবাদিক বৈঠকে তদন্তকারী দলের সম্পর্কে জানিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং এই ঘটনার তদন্ত কমিটির শীর্ষে থাকবেন তো বটেই, তাঁর সঙ্গে থাকবেন ডিআইজি সিআইডি মিরাজ খালিদ ও বারকপুরের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। একমাত্র তারা যদি মনে করেন যে আরও কাউকে দলে লাগবে তাহলে তারাই তাঁকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।