কলকাতা: চার পুরনিগমের ভোট নিয়ে দিনভর টানটান উত্তেজনা৷ দফায় দফায় উত্তেজনার খবরে উত্তাল হয়েছে গোটা রাজ্য৷ দেদার ছাপ্পা ভোট, রিগিং, অপহরণের অভিযোগের পাশাপাশি চলেছে মারপিট, গুলি, ঝরেছে রক্ত৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অশান্তিরর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে৷ ভোট শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান শাসক দলের বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন- শওকত মোল্লাকে খুনের পরিকল্পনা বানচাল, অস্ত্র সহ পুলিশের জালে ৩
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, “শিলিগুড়ি পুরনিগমে দু-তিনটি ওয়ার্ড বাদ দিলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু বাকি তিন পুরনিগম বিধাননগর, আসানসোল এবং চন্দননগরে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।” পুরভোটের অশান্তির প্রসঙ্গে বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সুকান্ত৷ তিনি বলেন, “চার পুরনিগমের ভোটে এই অশান্তি আর কিছুই নয় ২ মে’র ফলাফল ঘোষণার পর যে ভোটপরবর্তী হিংসার সাক্ষী বাংলার মানুষ হয়েছিল, তারই বর্ধিত রূপ।”
বিধাননগর পুরভোটে প্রয়াত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের নাম ভোট পড়ার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “যাঁরা তৃণমূল করে তাঁরা পাড়ার দ্বিজেন কাকা আর দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। তাঁদের বোঝার মতো সংস্কৃতিও নেই। যদিও তৃণমূল নিজেদের বাংলার সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে দাবি করে, কিন্তু তাঁদের বোঝার মতো ক্ষমতা নেই। ” এর পরেই তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “ভাগ্যিস সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই। নয়তো তাঁর নামেও ভোট পড়ে যেত।”