কলকাতা: বাংলায় হ্যাট্রিকের পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন দিল্লি৷ মিশন ২০২৪-কে সামনে রেখে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির৷ বিভিন্ন রাজ্যে ডানা মেলতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল৷ এরই মাঝে আগামী মাসে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরা তৃণমূলের নেতারা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁদের৷ পাশাপাশি আরও এক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান তাঁরা৷ তিনি হলেন, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷
আরও পড়ুন- ডোম পদে আবেদন ইঞ্জিনিয়রদের, প্রতি বছর বেঙ্গল সামিটের পর চাকরি কোথায়? প্রশ্ন দিলীপের
বরাবরই অন্য মেজাজ নিয়ে চলেন ‘কেষ্ট’৷ তাঁর গরম গরম বক্তৃতা মন ছুঁয়েছে ত্রিপুরার নেতাদের৷ তাই সে রাজ্যে ভোটের আগে ‘কেষ্ট’কেই তারকা প্রচারক করতে চান তাঁরা৷ তাঁদের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকর পর ত্রিপুরার মাটিতে যে নেতাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে তিনি অনুব্রত মণ্ডল৷ তাই কলকাতায় আসার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার নেতারা৷ লোকসভা ভোটের আগে ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়৷ ফলে এই ভোট তৃণমূলের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ বঙ্গে বিজেপি-কে পরাস্ত করার পর বিজেপি রাজ্যে ঢুকে বিজেপি বধই মমতার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের প্রস্তুতি৷ সেই কারণেই কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার নেতারা৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতার ভাই
বঙ্গ রাজনীতিতে দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল৷ তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বিতর্কও৷ তাঁর একএকটি স্লোগান বঙ্গ রাজনীতিতে সুপার হিট৷ কখনও ‘চড়াম চড়াম’ করে ঢাক বাজানোর কথা বলেছেন, কখনও দিয়েছেন ‘গুড়-বাতাসা’ দেওয়ার নিদান৷ যা বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও জনপ্রিয় হয়েছে। তাই ত্রিপুরার নেতারা চান, ভোটের আগে এমনই কিছু স্লোগান গিয়ে ঝড় তুলুক কেষ্ট। ত্রিপুরার এক নেতার কথায়, দিদি ও অভিষেকের সঙ্গে যখন দেখা করব, তখন অনুব্রতবাবুর সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করব। তাঁর বক্তব্য বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও সমাদৃত।’’